1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
আঙুলের ছাপ না মেলায় উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা - প্রিয় আলো

আঙুলের ছাপ না মেলায় উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৯২
28

সালেক উদ্দিন 28মালেক : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হতে আর মাত্র ১ দিন বাকি। এর মধ্যে নিবন্ধন না করা হলে ১ মে বন্ধ হয়ে যাবে গ্রাহকের মোবাইল ফোনের নম্বরটি।

 

এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের। আঙুলের ছাপ না মেলায় নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করেও অনেকে সমাধান পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ ছাড়া বিকল্প কোনো উপায়ে সিম নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাহকদের অনেকে অন্যের নামে নিজের সিমটি নিবন্ধন করছেন।

 

আঙ্গুলের ছাপসহ তথ্য না মেলায় বিপাকে পড়ছেন গ্রাহকরা। একদিকে জাতীয় পরিচয়পত্রে আঙ্গুলের ছাপ না থাকায় বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য গিয়ে ফিরে আসছেন গ্রাহকরা আবার নাগরিক সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট না থাকায় নিবন্ধনের জন্য ঘুরতে ঘুরতে পেরেশান হচ্ছেন অনেকেই। এই অবস্থায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনে আগ্রহীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 

কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হারুনের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামীণ সিম ব্যবহার করি। পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রামীণফোনের একটি রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টও নেই। নীলক্ষেতে একটি ছিল সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেমিস্টার পদ্ধতিতে ক্লাস পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এ মুহূর্তে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবো বুঝতে পারছি না। কাছে কোথাও রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট থাকলে করে ফেলতে পারতাম।’

 

একজন গণমাধ্যম কর্মী বলেন, ‘আমি ২০০৩ সাল থেকে একটি রবি সিম চালাচ্ছি। গত মাসে সেটি আমার নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনও করেছি। কিছুদিন পরে দেখি আমার সিমটা নিষ্ক্রিয়। পরে পল্টন রবি কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আপনার সিম চট্টগ্রামে এক মহিলা চালাচ্ছেন।’

 

রেজাউল করিম বলেন, ‘যেখানে আমি এত বছর যাবত সিমটি চালাচ্ছি। ২০০৮ সালে একবার রেজিস্ট্রেশন করেছি। আবার গতমাসে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুন:নিবন্ধণ করেছি। সে সিম কীভাবে অন্য আরেকজন চালায়? এ বিষয়ে কাস্টমার কেয়ারের কোন কর্মকর্তা কিছু বলতে পারেন নি বরং তারা আমাকে (হিরা) এবং ওই মহিলাকে সমঝোতায় আসার পরামর্শ দেন।’

 

তিনি বলেন, ‘এখন ওই মহিলা যদি কোন খারাপ ঘটনা ঘটায় তাহলে সেটি আমার নামে বর্তাবে। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।’

 

মোস্তফা কামাল তার কাজের ফাঁকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট পয়েন্টে যান। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে আঙ্গুলের ছাপ না থাকায় তাকে ফেরত আসতে হয়। পরে তিনি পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে জমা দিয়ে সিম নিবন্ধন করান।

 

নিজ এলাকায় (কিশোরগঞ্জে) বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শেখ রিয়াদুল ইসলাম। জাতীয় পরিচয়পত্র করার সময় দেওয়া আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে বর্তমান ছাপ না মেলায় তাকে পাঠানো হয় জেলা শহরে। সেখানেও একই সমস্যা। ঢাকা আসার পরামর্শ দেয়া হয় সেখান থেকে। ঢাকার আজিমপুর, নীলক্ষেতসহ ৪টি রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তারপর ফার্মগেট গ্রামীণফোন সেন্টারে যান। এখানেও ছাপ মেলেনি। পরে নীলক্ষেতে গিয়ে সহপাঠীর নামে তার সিম নিবন্ধন করিয়েছেন।

 

রিয়াদ বলেন, ‘সেন্টার থেকে বলা হচ্ছে, আবার নিজ উপজেলা নির্বাচন অফিসে আঙুলের ছাপ দিয়ে আসতে। এত ঝামেলা কেন নেবো? তাই বাধ্য হয়ে আমার ক্লাসমেটকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছি।’ কেবল রিয়াদ নন, এ অবস্থার মধ্যে পরতে হচ্ছে অনেককে।

 

রবির ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম কবির রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ত্রুটির কারণে কিছু সিম নিবন্ধন বাতিল হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এসব সিম নিবন্ধনের অন্য প্রক্রিয়ার কথা জানানো হয় নি।’

 

গ্রামীণফোনের হেড অব মিডিয়া কমিউনিকশন তালাত কামাল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আঙ্গুলের ছাপ না মেলার কারণে কিছু সিম নিবন্ধন সম্ভব হচ্ছে না। তবে এর সমস্যা সমাধানকল্পে কোন নির্দেশনা আমাদের হাতে আসে নি।’

 

বিটিআরসির সচিব গোলাম সরোয়ার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘টেকনিক্যাল কারণে কিছু সিম নিবন্ধন সম্ভব হচ্ছে না। যারা নানা ত্রুটির কারণে সিম নিবন্ধন করতে পারেননি তাদের নিবন্ধনের জন্য সুযোগ তৈরি করা হতে পারে। তবে এ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনো মন্ত্রণালয় থেকে গৃহীত হয় নি।’

 

গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি চালু হয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া। সরকার ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নতুন ও পুরনো সব সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x