বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে গাছপালা, কাচা ও আধা কাচা ঘরবাড়ি। ঘুর্ণিঝড়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীতে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ির দেয়াল চাপায় আব্দুল খালেক নামে এক ব্যবসায়ী, মহেশখালীতে মাটিচাপা পড়ে হারাধন নামে আরেকজন এবং চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে গাছচাপা পড়ে আজগর আলী নামে অপর একজন মারা গেছেন। এছাড়া দেয়াল চাপা ও গাছপালা পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
তিনি জানান, ঘুর্ণিঝড় হামুনে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে জেলায় কাচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া কুতুবদিয়া পাড়াসহ জেলার উপকূল এলাকায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ বুধবার দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার পর পরই ঘুর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এরপর কক্সবাজার উপকূল ও এর আশপাশের অঞ্চল দিয়ে একটানা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। একইসাথে শুরু হয় বজ্র বৃষ্টি। বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে পুরো কক্সবাজার শহর।