এন.মাহফুজঃ শায়খ ইবনু জুবাইলান স্বামীর ভালবাসা ও প্রীতি অর্জন করার জন্য বিভিন্ন ইসলামি স্কলারদের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে চয়ন করে নারীদেরকে উদ্দেশ্যে করে কিছু নসীহত করেছেন। আর সেগুলো হলো-
১. বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে কপালে চুম্বন করা। কারণ একে অপরকে চুম্বন করার দ্বারা ভালোবাসা বৃদ্ধি লাভ করে। [মাওলানা আশরাফ আলী থানভি রহ. রচিত বেহেশতি জেওর]
২. স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস্তু থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা এবং কোমলভাবে সালাম দেওয়া ও আলিঙ্গন করা। [হাকিম আশরাফ আলি রচিত পুশিদা রাজ]
৩. সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা। সম্মান ও শ্রদ্ধামূলক আচরণ করা। [মাওলানা আশরাফ আলী থানভি রহ. রচিত বেহেশতি জেওর]
৪. স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। আর হাদিসে এসেছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। এবং রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা। [আদাবুল মোয়াশারাত, স্বামী-স্ত্রীর মিলনবিধান]
৫. সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা। কারণ স্ত্রীকে হাসি খুশি দেখলে স্বামীদের মন ভালো হয়ে যায়। অনেক চিন্তা পেরেশানি দূরীভূত হয়। [স্বামী-স্ত্রীর মিলনবিধান]
৬. স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া। মাসিক ঋতুর সময়ও সুসজ্জিত অবস্থায় থাকা। [স্বামী-স্ত্রীর মিলনবিধান]
৭. স্বামীর সামনে কখনো নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে। [মাওলানা আশরাফ আলী থানভি রহ. রচিত বেহেশতি জেওর]
৮. সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা। [স্বামী-স্ত্রীর মিলনবিধান]
৯. নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনো তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ না করা। [মাওলানা আশরাফ আলী থানভি রহ. রচিত বেহেশতি জেওর]
১০. কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা কুরআনে আল্লাহ্ বলেন, তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না। (সূরা হুজুরাত -১৩)