কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া ১৬০ জন পর্যটক টেকনাফ ফিরেছেন। এখনো সেখানে আরো ৩০ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন।
শনিবার সকালে ট্রলার ও স্পিডবোটে এসব পর্যটক টেকনাফ ফেরেন বলে জানান টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, শনিবার সকালে আবহাওয়ার সতর্কতার সংকেত প্রত্যাহার করা হয়। তবে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনো জাহাজ না ছাড়ায় পর্যটকদের দ্বীপে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপরও অনেক পর্যটক নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন ট্রলার ও স্পিডবোটে টেকনাফ ফিরেছেন।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে তিনটি স্পিডবোটে ২৫ জন এবং তিনটি ট্রলারে ১৩৫ জন পর্যটক টেকনাফের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন ছেড়েছেন। ট্রলার ও স্পিডবোটে যেতে অনীহা থাকার কারণে দ্বীপে অন্তত ৩০ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছাড়েনি। ফলে এর আগের দিন বেড়াতে গিয়ে রাতযাপন করা পর্যটকরা শুক্রবার সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতে পারেননি।
হঠাৎ করে শুক্রবার ভোররাত থেকে ঝড়োহাওয়া শুরু হলে সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচল জাহাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই সব পর্যটক সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়ার ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সব ধরনের নৌযান চলাচলে এখন আর কোনো বাধা নেই।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়ার সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করায় জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। ফলে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনো জাহাজ ছাড়েনি।