নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিদায়ী সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত লোক মন্ত্রিসভায় থাকতে পারে না, আদালত অবমাননার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীর ( খাদ্যমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী)নৈতিক কারণে পদত্যাগ করা উচিত। যদি তাঁরা না করেন তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে তিনি আশা করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আদালত অবমাননার দায়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আজ দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে। অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, দুই মন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন সে জন্য তাঁদের আরও বেশি সাজা হওয়া উচিত ছিল। যদি কেউ এভাবে সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করে অল্প কিছু জরিমানা দিয়ে মুচকি হেসে চলে যান তাহলে তো সবাই অবমাননা শুরু করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কতগুলো বিষয় কোনো আইনে লেখা থাকে না। একজন সাজাপ্রাপ্ত লোক মন্ত্রিসভায় থাকতে পারে না। এ জন্য কোনো আইনের প্রয়োজন হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, দুই মন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাঁদের মন্ত্রিসভায় থাকার কোনো যোগ্যতা নেই। তাঁদের নিজেদের সরিয়ে নেওয়া উচিত।