কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুই পুলিশ কনস্টেবল ও এক নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ছয় পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে।
নিহতরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ও আনসারুল, গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক এবং এক হামলাকারী। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
হামলায় আহতরা হচ্ছেন- এসআই নয়ন মিয়া ও কনস্টেবল প্রশান্ত, জুয়েল, রফিকুল, তুষার ও মশিউর। পথচারী তিনজন হচ্ছেন- আব্দুর রহিম, হৃদয় ও মোতাহার। আহত অন্য পথচারীরর নাম জানা যায়নি।
গুরুতর আহত ছয় পুলিশ সদস্যকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সিএমএইচ থেকে তাদের হেলিকপ্টারে করে ঢাকা পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৯টায় শোলাকিয়া ঈদ জামাতের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদের হেলিকপ্টার আজিমুদ্দীন স্কুল মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীরা ককটেল হামলা চালায়।
পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলি ও ককটেল হামলায় কনস্টেবল জহিরুল ও এক হামলাকারী নিহত ও সাত পুলিশসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আনসারুল ময়মনসিংহ সিএমএইচে মারা যান।
শোলাকিয়া মাঠে যেখানে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সেখানে র্যাব, পুলিশ ও আনসারের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত আছেন। ফলে সেখানে নিরাপত্তার কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। তবে আজিমুদ্দীন স্কুল মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় শোলাকিয়ায় আগত মুসল্লিদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়।
কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় ঘরের মধ্যে থাকা ঝর্ণা রানী ভৌমিক নামে এক গৃহবধূ গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া এ ঘটনায় দুই পুলিশ কনস্টেবল ও এক হামলাকারী নিহত হন। এ সময় ছয় পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৯টায় শোলাকিয়া ঈদ জামাতের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদের হেলিকপ্টার আজিমুদ্দীন স্কুল মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীরা ককটেল হামলা চালায়। পুলিশ ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় একটি গুলি গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিকের (৪০) ঘরের বেড়া ভেদ করে তার কপালে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার স্বামীর নাম গৌরাঙ্গ চন্দ্র ভৌমিক।
অপর নিহতরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ও আনসারুল এবং এক হামলাকারী। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরে গুলিবিদ্ধ একজনসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।
হামলায় আহতরা হচ্ছেন- এসআই নয়ন মিয়া ও কনস্টেবল প্রশান্ত, জুয়েল, রফিকুল, তুষার ও মশিউর। পথচারী তিনজন হচ্ছেন- আব্দুর রহিম, হৃদয় ও মোতাহার।
গুরুতর আহত ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের হেলিকপ্টারে করে ঢাকা পাঠানো হয়।