শামীম, খুলনা প্রতিবেদকঃ ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ২৯/২/১৬ ইং সকাল ১০ টা।
দেশে একের পর এক ঘটেই চলেছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা। বাংলাদেশে এ যেন নিত্য দিনের খবরের অবিচ্ছেদ্য খসড়া। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নে গত ২৯ ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার সকাল দশটার দিকে ‘গুটুদিয়া এ সি জি বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ পিটিতে উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় পিটির শিক্ষক কবির বিশ্বাস অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ ছায়াদ হোসেনকে চরমভাবে বেত্রাঘতা করেন।
বিদ্যালয়ের অন্য সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরও এ সময় নির্দয়-নিষ্ঠুর ভাবে শরীরের নানা অংশে আঘাত করতে থাকেন।এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছ। বিশেষ করে এ ঘটনায় শিশু ছায়াদ অসুস্থতার কারনে উপস্থিত হতে পারেনি বলে জানালেও পাষণ্ড স্যার “কবির বিশ্বাস” কোন কার্ণপাত না করেই আরো বেপরোয়া হয়ে তাকে আঘাত করেন এবং এক পর্যায়ে কপালে ইটের টুকরা দিয়ে সূর্যমুখী করে রাখে। এতে ছাত্রটি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ঘটনার কিছু সময় পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্রটিকে ছুটি দিয়ে দেয়। ব্যাথায় আক্রান্ত ছেলেটি হাটতে না পারায় তাকে ভ্যানযোগে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছাত্রটি বাড়ীতে এসে তার বাবা মোঃ শাহনেওয়াজ হোসেন মোড়লকে ঘটনাটি জানায়।প্রিয়আলোর এ প্রতিনিধি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন, পরে দেখবেন বলে এড়িয়ে যান।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কাছেও বিষয়টি উপাস্থপান করলে তারাও বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্রটিকে এমন ভাবে মারধর করা হয়েছে যে তার দুই পায়ের হাটুর নিচে ফেটে যাওয়ায় প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে বিছানায় শয্যাশায়ী।
এ ধরনের ঘটনা বিদ্যালয়ে ঘটতে থাকলে শিশু-ছাত্রদের কমল মনে শিক্ষার প্রতি বিরুপ দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষকদের এহেন নির্দয় নিষ্ঠুরতা বন্ধের জন্য শিশু ছায়েদ নির্যাতনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকগণ। এ ধরনের ঘটনা বন্ধে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত বলে মনে করেন অনেকেই।
ছাত্রটির বাবার মোবাইল নং: ০১৯৩৭ ৭৬১৩২২