1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
লড়াই করে হারল বাংলাদেশ - প্রিয় আলো

লড়াই করে হারল বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬
  • ২০০
Bd 011458584257

ক্রীড়া প্রতিবেদক: তাসকিBD_011458584257ন আহমেদ ও আরাফাত সানীর অনুপস্থিতিতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ শিবির। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে প্রত্যক ক্রিকেটারকে। এ ছাড়া দলের সেরা ও ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ম্যাচের আগে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হওয়া যেন মাশরাফি বাহিনীর জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা।

 

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের রানপ্রসবা উইকেটে অল্প পুঁজি নিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে যেভাবে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে, তাতে মন ভরেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। দুটো ক্যাচ মিস ও একটি রান আউটের সুযোগ নষ্ট করার পরও অস্ট্রেলিয়ার মতো দুর্দান্ত দলের সাত উইকেট ফেলে দেওয়া সহজ কথা নয়।

 

দুই সতীর্থকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে লড়াকু ক্রিকেট খেলেছে টাইগাররা। ক্রিকেটারদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ থাকলেও তাকে পাত্তা দেয়নি বাংলার দামাল ছেলেরা। মাঠের লড়াইয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি টাইগাররা।

 

অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে অসিরা ম্যাচ জিতে নেয় ৯ বল ৩ উইকেট হাতে রেখে।

 

 

এ পরাজয়ে সেমিফাইনালে উঠার সম্ভাবনা অনেকটা কমে গেল বাংলাদেশের জন্যে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ৮ রানে হারের স্বাদ পাওয়া অস্ট্রেলিয়া প্রথম জয়ের দেখা পেল।

 

তামিমের পরিবর্তে সৌম্যর সঙ্গী ছিলেন মোহাম্মদ মিথুন। ওপেনার হিসেবে দলে নাম লেখালেও তামিম-সৌম্যর জুটির কারণে সাত-আটে ব্যাটিং করতে হচ্ছিল মিথুনকে। যেখানে প্রতিভার ঝলক দেখানোর সুযোগ পাচ্ছিলেন না ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। সোমবার বেঙ্গালুরুতে সেই সুযোগটি আসলেও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেননি মিথুন। স্কোরবোর্ডে ২৩ রান জমা করলেও মিথুনের ইনিংসটি ছিল যথেষ্ট ধীর গতির। ২৩ রান করতে ২২ বল করেন তিনি। ইনিংসে মাত্র ১ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান মিথুন। ডট বল ছিল ৮টি।

 

অবশ্য মিথুনের সঙ্গী সৌম্য ছিলেন পুরোপুরি ফ্লপ। ওয়াটসনের ছয় মারার বলে যেভাবে আউট হলেন তাতে হতবাক ক্রিকেটপ্রেমীরা।

 

সৌম্যর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাব্বির। তার ব্যাট থেকেই আসে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি। অবশ্য সেটা পেতে বাংলাদেশকে ২০ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। হেসটিংসের ওভারপিচ বল মিড অফ দিয়ে বাইরে পাঠানোর এক বল পরে মিড অন দিয়ে আবারো বাউন্ডারি হাঁকান সাব্বির। শুরুটা দারুণ করলেও শেষটা ভালো হয়নি তার। ওয়াটসনের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিডল অফে ক্যাচ তুলে নেন। দৌড়ে ড্রাইভ দিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন জেমস ফকনার।

 

ধীরগতিতে ব্যাটিং শুরু করলেও মিথুনের ব্যাট থেকে আসে প্রথম ছয়। সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ার পর মিথুন ফিরে যান স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে। লেগ স্পিনার জাম্পা ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেওয়ার পর শুভাগত হোম (১৩) ও সাকিব আল হাসানের (৩৩) উইকেট তুলে নেন।

 

 

শুভাগতের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং শো তখনও বাকি ছিল। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশকে সম্মানজনক রান এনে দেন। মাহমুদউল্লাহ ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন মাত্র ২৯ বলে। ৭ চার ও ১ ছক্কায় মারকুটে ইনিংসটি খেলেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম।

 

শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যা টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান।

 

বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম উইকেটের স্বাদ পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে অষ্টম ওভার পর্যন্ত। সেটিও আবার এসেছে রান আউটে। সাব্বির রহমানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউটে ওয়াটসনের (২১) ইনিংস কাটা পড়ে। অবশ্য এর আগের ওভারে আউট হতে পারতেন ওয়াটসন। মুস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছিলেন ওয়াটসন। কিন্তু মিথুন ক্যাচটি ধরতে ব্যর্থ হন। ৬২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৯৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মুস্তাফিজুর রহমানের বল বুঝতে না পেরে বোল্ড অসি অধিনায়ক স্মিথ (১৪)। এরপর মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মিচেল মার্শ (৬)। মাঝে ওসামান খাজা (৫৮) ও ওয়ার্নারকে (১৭) সাজঘরে ফেরত পাঠান আল-আমিন হোসেন ও সাকিব আল হাসান। শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ম্যাক্সওয়েল (২৬) ও হেসটিংসের (৩) উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি ‘বিপর্যস্ত’ টাইগারদের।

 

ইনজুরি কাটিয়ে ছয় ম্যাচ পর দলে জায়গা পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমান অসাধারণ বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ৩০ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে দলের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৫৫তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষিক্ত হওয়া সাকলায়েন সজীব ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ৩ ওভার ৩ বলে খরচ করেছেন ৪০ রান।

 

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন অ্যাডাম জাম্পা। ক্যারিয়ার সেরা ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন অসি লেগ স্পিনার।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x