1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
লক্ষণ ছাড়া করোনায় সংক্রমিত ৮০ ভাগের বেশি! তবুও ঘুরছে মানুষ - প্রিয় আলো

লক্ষণ ছাড়া করোনায় সংক্রমিত ৮০ ভাগের বেশি! তবুও ঘুরছে মানুষ

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ মে, ২০২০
  • ২১১
Bangladesh Health Virus
Workers from the garment sector block a road as they protest to demand the payment of due wages during a government-imposed nationwide lockdown as a preventive measure against the COVID-19 coronavirus, in Dhaka on April 22, 2020. (Photo by MUNIR UZ ZAMAN / AFP) (Photo by MUNIR UZ ZAMAN/AFP via Getty Images)

গত ৯ মে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ফেরেন এক নারী পোশাক শ্রমিক (২৫)। এলাকাবাসীর চাপে তাকে ১০ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ১১ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট ‘করোনা পজিটিভ’ আসে।

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মনি শংকর পাইক বলেন, ‘এই নারীর মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল না। যেহেতু চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন, তাই হাসপাতালে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়। তার শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত উপসর্গ প্রকাশ পায়নি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা সংশ্লিষ্ট যে চিকিৎসা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে, সে ধরনের কোনো চিকিৎসা তাকে দিতে হয়নি। তবে করোনা শনাক্তের পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাকে শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। এখন তিনি মানসিকভাবেও ভালো আছেন। আজ ফলোআপ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। নেগেটিভ আসলে আরেকবার ফলোআপ নমুনা পাঠাব। তাতেও নেগেটিভ আসলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেব।’

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে, সংক্রমিত বেশিরভাগেরই কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নেই। এই সংখ্যা অন্তত ৮০ ভাগ বা তারও বেশি। এদের বলা হয় এসিমটোমেটিক (লক্ষণ-উপসর্গহীন)।’

তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকায় পরীক্ষা ছাড়া বোঝার উপায় নেই, কে সংক্রমিত আর কে সংক্রমিত না। ফলে সংক্রমিত ব্যক্তি নিজেকে সুস্থ মনে করে যেখানে-সেখানে যাচ্ছেন। তার কাছে তিনি আসছেন তিনি সংক্রমিত হচ্ছেন। সেই সংক্রমিত ব্যক্তির দ্বারা আবার অন্যরা সংক্রমিত হচ্ছেন। এভাবে একজন থেকে আরেকজনে ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এদের সুপার স্প্রেডার বলা হয়।’

ড. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, ‘কোনো কন্টাক্ট ট্রেসিং নেই। শনাক্ত করে আলাদা করার সেই সময়ও পেরিয়ে গেছে। লকডাউনও সেভাবে নেই। এখন যদি সবারই টেস্ট করা হয়, তাহলে দেখা যাবে বেশিরভাগই পজিটিভ।’

অল্প সংখ্যক যাদের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে তাদের হয়তো অন্য কোনো রোগের কারণে প্রকাশ পাচ্ছে বলে মনে করেন ঢামেকের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান।

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ আবার অন্যরকম লক্ষণ নিয়ে আসছেন। যেমন- বমি বমি ভাব, বমি, মুখে স্বাদ নেই, ডায়রিয়া, দুর্বলতা। পরীক্ষা করে এমন অনেককেই করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ যে ধরনের লক্ষণ উপসর্গ থাকা দরকার তা নেই, এটাকে বলা হয় এটিপিক্যাল (atypical) সিমটম।’

এমন হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একেক দেশের ভৌগোলিক-প্রাকৃতিক ভিন্নতার কারণে ভাইরাসও সেখানে নিজের জিনগত পরিবর্তন আসছে। ফলে লক্ষণেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। যেহেতু সংক্রমিতদের মধ্যে বেশিরভাগের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না, তাই মহামারির এই সময়ে যে কেউই মারা গেলে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে হবে। যদি পরীক্ষার করা সুযোগ না থাকে, তাহলে করোনায় মৃতদের দাফনের মতো সাবধানতা অবলম্বন করে দাফন করা উচিত। কারণ আমরা তো জানি না, কার কোভিড পজিটিভ আর কার নেগেটিভ।’

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মহামারির সময় কাউকেই অসংক্রমিত ধরে নেওয়া সুযোগ নেই। সবাইকেই সংক্রমিত ধরে নিতে হয়। যতক্ষণ না পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ পাওয়া য়ায়।’

করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘শনাক্তকরণের বিষয়ে জোর দিয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি আরো বেশি বিস্তৃত করা প্রয়োজন।’

গত ১৪ মে নবনিযুক্ত নার্সদের বরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত এক মাসে বহু গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে আমরা বেশিসংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারছি। যত বেশি আক্রান্ত মানুষ চিহ্নিত হবে তত আক্রান্তের ঝুঁকিও কমবে। এই নমুনা পরীক্ষা খুব দ্রুতই ১০ হাজার এবং এরপর তা ১৫ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, দেশে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ২৬৮ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্তের খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x