মোঃ মোস্তফা কামালঃ এই গণতান্ত্রিক দেশে-
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবি তোলার আপনি আমি কে ???
তবে হ্যাঁ,
যে দিন এ সরকারের কোন অঙ্গ সংগঠন রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে একটা বিবৃতিও দিবে সেদিন থেকেই আমার হাত ও কলম দুটি-ই চলবে অবিরত। এর আগে প্রকাশ্যে একবারের জন্যও বলবো না রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চাই। ফাইনাল।।
★≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅≅★
যেহেতু জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার তাঁর মন্ত্রী-পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে, সংসদে আইন পাশের মাধ্যমেই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে তুলে দিচ্ছে। তাই আপনাকে আমাকে সেটা মানতেই হবে। কারন- আমরা ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতা যোগ্য দলের হাতে তুলে দিয়েছি। আর আপনি আমি এখন যদি প্রতিবাদ করি তবে আমাদের বিরোধীদল হিসেবে গণ্য করা হবে!!! এটাই স্বাভাবিক। অতএব আমরা এ সরকারকে যেভাবে ভোটের রায় দিয়েছি, সেভাবেই মেনে নিন। না হয় জিহাদ করে জঙ্গি তকমা নিয়ে চির বিদায়ের জন্য প্রস্তুত হউন।
একটা জিনিস সবার মাথায় মনে রাখতে হবে- রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি কিন্তু বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শাসিত দেশ। তাই তিনিই দেশের সর্ব-সব। তিনি আমাদের জনগনের মাধ্যমেই নির্বাচিত হয়েছেন। অতএব তিনি যা জায়েজ বলবেন সেটাই জায়েজ। শাহবাগ আন্দোলন, হেফাজত সমাবেশ এর বড় উদাহরন। হেফাজত আন্দোলনে নেমেছিল নাস্তিকদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে ( ১৩ দফা দাবি )! ( আমাদের সরকার এবং পীর সাহেবগণ বলেছিলেন ইসলামের হেফাজত আল্লাহ ই করবেন ) তখনো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বি.এন.পি যখন একাত্মতা প্রকাশ করলো তখনই নেত্রীর সাহসী ভুমিকায় পিছু হটতে শুরু করে হেফাজত, ঘটনা সবারই জানা। দিগন্তও বন্ধ হয়ে যায়……।। মুল কথা হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই হবে। এটা কোন ইসলাম শাসিত দেশ না। এটা জনগণের দেশ! এ কথা আমরা কেন ভুলে যাই !!!
এই যে দেখুন পাবলিক ভার্সিটির সন্মানিত শিক্ককদের কথা!! গতকালেরই ঘটনা। সারা দেশের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন, এই করে, সেই করে, কত কিছু করেও এতো শত আন্দোলন করে দাবিগুলো পুরন করতে কি পেরেছিল???? শিক্ষা মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীরা কি পেরেছেন দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেওয়ার মতো দুঃসাহস দেখাতে ???? পারেন নি। অথচ গতকাল আমাদের কোমলমতি বঙ্গকন্যার আঙ্গুলের ইশারায় দাবি পাশ!!! কারন তিনি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে পারেন।
এই বুঝতে পারার নামই প্রজ্ঞা। যে প্রজ্ঞা তিনি তাঁর বিশেষ বান্দাদের দিয়ে থাকেন।
আর ক্ষমতা যেহেতু আসমান থেকেই নির্ধারিত হয় সুতরাং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কী হবে না হবে সেটাও আল্লাহই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে নির্ধারণ করে দিবেন। “যেহেতু হেফাজতে ইসলাম, ইসলামের হেফাজত করবে কীভাবে! এ কথা আমরাই বলেছিলাম!”
অতএব, আল্লাহ ই তাঁর ইসলামকে রক্ষা করবেন।
তাই তুলনামূলক সুবিধাজনক তাবলীগ জামায়াতের আক্বীদা বা বিশ্বাসকে ধারন করুন হৃদয়ে আর তাঁদের মতোই বলুন; ” হে আল্লাহ যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাঁদের তুমি দ্বীনের হেদায়েত দান করো “।।