রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১-তে ছুরিকাঘাতে মো. ফয়সাল ওরফে রাসেল (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রাশেদ (৩০) নামে তার এক বন্ধু আহত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ফয়সাল কারচুপির কাজ করতেন। তিনি পল্লবীর ই ব্লক সেকশন ১২ মুড়াপাড়া ক্যাম্পে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা মো. শাহাদাৎ তাঁতের কাজ করেন। ৪ ভাইয়ের মধ্যে ফয়সাল তৃতীয় ছিলেন। আর রাশেদ দর্জির কাজ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে রাসেলকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন রাশেদ বলেন, মিরপুর সাড়ে ১১-এর পুরাতন থানার সামনে তারা কয়েক বন্ধু মিলে ইফতার শেষ করে বাসার দিকে ফিরছিলেন। ওই এলাকায় তানজিলার ভাই শাহীন ও তার স্বামী কালুসহ ৮-১০ জন মিলে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাদের আহত করে।
নিহতের বন্ধু সানাউল্লাহ বলেন, শাহিনের সঙ্গে আগের কোনো বিরোধ নিয়ে গতকাল শুক্রবার তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। আজ বিকেলে একই এলাকার তানজিলা নামের এক মেয়ের বাসার সামনে ফয়সাল গান গাচ্ছিল। সেটাকে ব্যঙ্গ মনে করে তানজিলা তার স্বামী ও ভাইকে রাশেদ ও ফয়সালকেকে মারার নির্দেশ দিয়েছে।
নিহতের বাবা মো. শাহাদাৎ বলেন, ‘খবর পাই ওই এলাকার শাহীন ও কালুসহ বেশ কয়েক জন তার ছেলেকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে। পরে খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে এসে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। বিষয়টি পল্লবী থানাকে জানানো হয়েছে।
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, তানজিলাকে নিয়ে বাসার সামনে গান গেয়েছিল, সেটাকে কেন্দ্র তার স্বামী ও ভাই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। আহত রাশেদ ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।