1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
মোসাদ্দেকের বীরত্বের দিনে বিরল পরাজয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের - প্রিয় আলো

মোসাদ্দেকের বীরত্বের দিনে বিরল পরাজয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ২৪৭
Bangladesh Afganistan1475058053

ক্রীড়া bangladesh_afganistan1475058053প্রতিবেদক, মিরপুর থেকে: শততম ওয়ানডে জয় ও ঘরের মাঠে টানা ষষ্ঠ সিরিজ জয়; আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলে ‍দুটোই পূর্ণ হত বাংলাদেশের। কিন্তু সেটা আর হল কই?

অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেনের বীরত্বপূর্ণ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ২ উইকেটে হার মেনেছে বাংলাদেশ।

সাফল্য গাঁথায় অনন্য অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি। প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এক সময় অল্প রানেই অলআউট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু দশম উইকেট জুটিতে রুবেল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিং মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের। মোসাদ্দেকের অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে  ৪৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।

 

২০৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নবী ও অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন। এরপর টেল এন্ডাররা ধীরেসুস্থ্যে ব্যাট করে জয়ের বন্দরে নোঙর করেন। ৪৯.৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানরা সংগ্রহ করে ২১২ রান।

বল হাতে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।১টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তাসকিন আহমেদ।

03f38bd97217eb04d4969731b1ff1d02-6

বল হাতেও বীরত্ব দেখানো মোসাদ্দেকের আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি।

অষ্টম উইকেটের পতন : ৫০তম ওভারের তৃতীয় বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নাজিবুল্লাহ জাদরান (২২)।

 

সপ্তম উইকেটের পতন : সাকিব আল হাসানের ৪৫তম ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন রশিদ খান (৫)। এটা সাকিবের চতুর্থ উইকেট। মিরপুরে তার ১০০তম উইকেট।

 

 

ষষ্ঠ উইকেটের পতন : মোসাদ্দেক হোসেনের করা ৪১তম ওভারের তৃতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন আসগর স্টানিকজাই (৫৭)। মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।

 

পঞ্চম উইকেটের পতন : মাশরাফির করা ৪০তম ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হন মোহাম্মদ নবী (৪৯)। আউট হওয়ার আগে আসগর স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ে যান।

 

চতুর্থ উইকেটের পতন : ১৬তম ওভারের প্রথম বলে সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন আহমেদ শেহজাদ (৩৫)। সাকিবের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার ৩৫ বলে করা ৩৫ রানের  ইনিংসে ৪টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কার মার ছিল।

 

তৃতীয় উইকেটের পতন : ১৪তম ওভারে মোসাদ্দেকের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। অধিনায়ককে হতাশ করেননি তিনি। নিজের প্রথম বলেই আসগর স্টানিকজাইকে (১৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোসাদ্দেক।

 

দ্বিতীয় উইকেটের পতন : সাকিবের করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রহমত শাহ (০)।

 

প্রথম উইকেটের পতন : সাকিবের করা চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে তাইজুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নওরোজ মঙ্গল (১০)।

 

বল হাতে আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান ৩টি, মোহাম্মদ নবী ও মীরওয়াইজ আশরাফ ২টি করে উইকেট নেন।

 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ রান করে মিরওয়াইস আশরাফের বলে দাওলাত জাদরানের হাতে তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম ইকবাল। দলীয় ৫০ রানের সময় আশরাফের দ্বিতীয় শিকার হন সৌম্য সরকার। হাসমতউল্লাহ শাহিদির হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ২০ রান করে আউট হন তিনি।

দলীয় ১১১ রানের মাথায় নাভীন-উল-হকের বলে বোল্ড হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৫)। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তিনি মূল্যবান ৬৩ রানের জুটি গড়ে যান। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিমও। দলীয় ১২২ রানের মাথায় রহমত শাহর বলে নাভীন-উল-হাকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুশফিক (৩৮)।

 

মোহাম্মদ নবীর করা ৩২তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন সাকিব আল হাসান (১৭)। সাকিব আউট হওয়ার পরের ওভারের প্রথম বলে সাব্বির রহমানও দিশেহারা হয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হন (৪)। তাকে শিকার করেন রশিদ খান।

 

দলীয় ১৪১ রানের মাথায় মোহাম্মদ নবীর করা ৩৪তম ওভারের শেষ বলে মিড অফে দাওলাত জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাশরাফি (২)।

 

এরপর দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় রশিদ খানের করা পর পর দুই বলে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। এরপর রুবেল হোসেনকে নিয়ে দশম উইকেটে জুটি গড়েন মোসাদ্দেক। ৪৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পূঁজি এনে দেন মোসাদ্দেক। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে।

 

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ১২ বছর। অবশ্য এ ১২ বছরে মাত্র ২২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ্। ১৯৯৮ সালে ভারতের হায়দরাবাদে ত্রিদেশীয় সিরিজে কেনিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয়ের খাতা খুলে বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ। জিতেছে ৯৯টি ম্যাচ। আজ জিতলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ হবে টাইগারদের।

 

অন্যদিকে মাশরাফির দলের ঘরের মাঠে টানা পাঁচটি সিরিজ জিতেছে। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে শুরু। এরপর ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। বছরের শেষ দিকে আবারও জিম্বাবুয়ে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম সিরিজ জয়ের স্বাদ পান মাশরাফি। এবার আফগানিস্তান বধের পালা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২০৮/১০ (তামিম ২০, সৌম্য ২০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মুশফিক ৩৮, সাকিব ১৭, সাব্বির ৪, মোসাদ্দেক ৪৫*, মাশরাফি ২, তাইজুল ১০, তাসকিন ০, রুবেল ১০; রশিদ ৩/৩৫, নবী ২/১৬, আশরাফ ২/২৩)
আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২১২/৮ (শেহজাদ ৩৫, মঙ্গল ১০, স্টানিকজাই ৫৭, শহীদি ১৪, নবী ৪৯, নজিবুল্লাহ ২২; মাশরাফি ১/৩১, সাকিব ৪/৪৭, তাসকিন ১/৩২, মোসাদ্দেক ২/৩০)
ফল: আফগানিস্তান ২ উইকেটে জয়ী (২ বল হাতে রেখে)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ নবী।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x