1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
মা-বাবা-বোন হত্যা : মেয়ে ও তার স্বামীকে আসামি করে মামলা - প্রিয় আলো

মা-বাবা-বোন হত্যা : মেয়ে ও তার স্বামীকে আসামি করে মামলা

  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ জুন, ২০২১
  • ১৪৪
Jail 4

স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানীর কদমতলীতে মা, বাবা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে ওই পরিবারের আরেক মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা হয়েছে। কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামালউদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মামলাটি করা হয়। মামলাটি করেছেন নিহত মাসুদ রানার ভাই সাখাওয়াত হোসেন।

ওসি জামালউদ্দিন আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে আটক নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল অসুস্থ থাকায় তাকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।

৯৯৯-এ এক নারীর ফোন পেয়ে কদমতলীর মুরাদপুরের লাল মিয়া সরকার রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় যায় পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম (২১)।

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনকে (২৪) গতকালই আটক করে পুলিশ। আর মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল (৩০) ও তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মেহজাবিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মেহজাবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল তার। এর জেরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে অচেতন করেন। পরে মা, বাবা ও বোনের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। তবে স্বামী ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে অচেতন করলেও হত্যা করেননি। শনিবার সকাল আটটার দিকে মেহজাবিন জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন করেন।

ফোনে মেহজাবিন বলেন, ‘তিনজনকে খুন করেছি। এখনই পুলিশ পাঠান। যদি পুলিশ না আসে, তবে আরও দুজনকে খুন করব।’ এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেছেন, মেহজাবিন আত্মস্বীকৃত খুনি। মা-বাবা ও বোনের প্রতি তার প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল। স্বামীর সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। বোনের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের বিষয়টির নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x