বিনোদন ডেস্ক: আজ প্রেক্ষাগৃহে আসছে বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। এই ছবি দিয়ে প্রায় সাত মাস পর দর্শকের সামনে আসতে যাচ্ছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়িকা মাহিয়া মাহি।
তবে মুক্তির ঠিক আগ মুহূর্তে ছবিটি নিয়ে শোনা গেল নায়িকার আক্ষেপ। না, এ তার চরিত্র বা গল্প নিয়ে নয়। মাহির আক্ষেপ ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিটি মাত্র ১৬টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে বলে। মাহি বলেন, ‘নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গল্পে নির্মিত মেহের আফরোজ শাওনের পরিচালনায় এই ছবিটি নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ। এই ছবি দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবারো মূল ভূমিকায় ফিরছেন জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ। ছবির গানগুলো এরইমধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তারকাবহুল এবং দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই ছবিটি মাত্র ১৬টি হলে মুক্তি পাচ্ছে এটা মানা যায় না। আমি শুনেছিলাম প্রায় একশ হলে ছবিটি আনা হবে। কিন্তু এখন শুনছি ভিন্ন কথা। যদিও ছবিটির পরিবেশনার দায়িত্বে থাকা জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে জানানো হয়েছে হলের সংখ্যা আরো বাড়বে।’
মাহি চলচ্চিত্রের মানুষদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ভালো ছবি যদি দর্শকরা হলে গিয়ে দেখারই সুযোগ না পায় তবে কী করে ইন্ডাস্ট্রি তার মন্দাবস্থা কাটাবে?’
এদিকে ছবিটি মাত্র ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার খবরে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মাহি ভক্তরা। অনেকেই মাহির ফ্যান পেইজ ও ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ বিষয়টিকে ছবিটির পরিবেশনার দায়িত্বে থাকা জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যর্থতা বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে মাহি এইসব মন্তব্যের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো উত্তর দেননি।
জাজ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘কৃষ্ণপক্ষ’। এগুলো হলো- ঢাকার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস, বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড, শ্যামলি, অভিসার, পূর্ণিমা, ফরিদপুরের বনলতা, সিলেটের বিজিবি অডিটোরিয়াম, জয়দেবপুরের চন্দনা, নাটোরের ছায়াবানী, টাঙ্গাইলের মধুপুরের মমতা, নাগপুরের রাজিয়া, পাবনার রূপকথা ও সিরাজগঞ্জের চালার সাগরিকা।
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ছবিটির বাংলাদেশে পরিবেশনার দায়িত্ব নিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা সামনে আরও বাড়বে। কিন্তু এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারেননি তারা।
এদিকে ‘কৃষ্ণপক্ষ’র মতো ছবির মাত্র ১৬টি হল পাওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকই এখানে ‘কু’ রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন। তারা বলছেন, ছবিটি সদ্য মুক্তি পাওয়া রিয়াজুল রিজুর ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’র মত রাজনীতির শিকার হতে পারে বলে।
তাদের দাবি, একটা মহল চাইছে না, ঢাকাতে ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র বেঁচে থাকুক। তারা ইন্ডাস্ট্রিটাকে নিজেদের বগলদাবা করে এখানে একপক্ষীয় যৌথ প্রযোজনাসহ নানা অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করতে চান। যার কারণে, নিজেদের বলয়ের বাইরের ছবিগুলোকে হলে ‘অচল’ প্রমাণ করে এইসব ছবি ও নির্মাতাদের প্রতি শিল্পী-কলাকুশলী থেকে শুরু করে প্রযোজকদের নিরাশ করার চেষ্টা করছেন। এই বিষয়টির প্রতি নজর দিয়ে এর প্রতি সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা।