ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কেন বলা হয় তা ক্রিকেট বিশ্ব বারবার দেখেছে। বারবার ধোনিও দেখিয়েছেন কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার, অধিনায়ক। বুধবার ভারতের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরেকবার তার প্রমাণ মিললো।
বাংলাদেশের নিশ্চিত জয় পাওয়া ম্যাচে ধোনি ভারতকে জিতিয়েছেন নিজের দক্ষতায়, নিজের বুদ্বিমত্তায়। শেষ ওভারে ১১ রানের প্রয়োজনে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ৩ বলে ৯ রান তুলে নেয়। কিন্তু নিজের বোলারদের উপর আত্মবিশ্বাস রেখে একজন ফিল্ডারও বৃত্তের ভিতরে নিয়ে আসেননি ধোনি। বরং ফিল্ডিং পাল্টেছেন বারবার। হার্দিক পান্ডিয়ার চতুর্থ বলে মুশফিক আউট হন মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে। বল করার আগে হার্দিকের কাছে গিয়ে পরামর্শ দেন। ধোনির কথা মত হার্দিক স্লোয়ার মারেন। মুশফিক বল বুঝতে না পেরে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন ধাওয়ানের হাতে। পরের বলে আবারো হার্দিককে পরামর্শ দেন। এবার ফুলটস। ফিল্ডার পরিবর্তন করে মিডউইকেট থেকে শেখর ধাওয়ানকে সরিয়ে রবিন্দ্র জাদেজাকে রিপ্লেস করেন। ফলাফলও পেয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ফুলটস ডেলিভারি উঠিয়ে মারতে দিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ ছয় হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করতে চাইবেন এমন ধারণা থেকে ফিল্ডার সেট আপ করেছিলেন ধোনি। এতে পুরো লেটার মার্কস পেয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে ধোনি জানালেন, এরকম পরিস্থিতি কিভাবে ম্যাচ জিততে হয় তা মাহমুদউল্লাহর শিখতে হবে।
ধোনির ভাষ্য,‘সব সময়ই আপনি চাইবেন বড় শট খেলে দলকে জেতাতে। আপনার হাতে উইকেট আছে সেটা সম্পর্কেও আপনি অবগত। আপনি মাঠে থেকে যেমনটা চিন্তা করছেন প্রতিপক্ষ দলের অন্য কেউও তেমনটা চিন্তা করছে; সেটা আপনার মাথায় থাকতে হবে। আপনি ভালো করছেন, সে সময়ে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় সেটা মাহমুদউল্লাহর শিখতে হবে।’
শেষ বলের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে ধোনি বলেন,‘আমি সবকিছু এখানে বলতে চাচ্ছি না। তবে সিদ্ধান্ত ছিল লেন্থ বল করা। সঠিক জায়গায় বল করা। ইয়র্কার করলে অন্য কোনো ফল হতে পারে। সে কারণে আমি লেন্থ বল করার পরামর্শ দেই। বল ব্যাটে না লাগলে বাকি কাজটুকু আমি করতে পারব সেই বিশ্বাস আমার ছিল।’