মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে আটক করেছে। গতকাল বুধবার দেশটির কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মালয়েশিয়ার একটি সূত্র কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলেছে, সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বা কোনো মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হবে কি না- সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস বুধবার দুপুরে এক টুইট বার্তায় বলেছে, ‘সতর্কতা! আজ সকালে কুয়ালালামপুরের উপকণ্ঠ থেকে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ও ইউএনএইচসিআরের স্বীকৃত শরণার্থী এম খায়রুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকিতে আছেন তিনি। তাকে সেখানে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে। ’ সংগঠনটি টুইট বার্তার সঙ্গে ইউএনএইচসিআর থেকে খাইরুজ্জামনকে দেওয়ার শরণার্থী কার্ডের একটি অনুলিপিও প্রকাশ করেছে।
এম খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। জেল হত্যার পর খায়রুজ্জামানকে সেনাবাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর তিনি মিসর ও ফিলিপাইনের বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাকে ওই পদ থেকে বাতিল করে দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন। তিনি ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড পাওয়ার পর মালয়েশিয়ায়ই বসবাস করছেন।
এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ২০০৩ সালে তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।