বিশেষ প্রতিনিধি:
মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খাতিয়ালে ছেলে-মেয়ের শালিশের ঘটনার জেরে বিল্লাল জমাদ্দার, ইগুল মল্লিক সহ তার গুরুপ প্রতি পক্ষ আলমগীর মাতুব্বর পক্ষের লোকজন উপর অতারর্কিত অমানুষিক হামলা করে সাতজন কে কুপিয়ে গুরুতর আহত, ১২টি বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষয় হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চরম উত্বেজনা বিরাজ করিতেছে ও সাধারন মনুষ আতঙ্কে আছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় খাতিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে স্কুলের ছেলে মেয়েদের মাঝে একটা ঝরগার সৃস্টি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তা এক পর্যায় মিটমাট করে দেয়। পুনরায় স্কুলের ঘটনা পুনরাবৃত্ত হলে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিগন শালিশ মাধ্যমে মিমাংশা করে দেওয়ার কথা বলে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. হাসেম বেপারী জানান বিত্তলোভী, সন্ত্রাসী প্রকৃতির মোঃ বিল্লাল জমাদ্দার, ইগুল মল্লিক, ইমন মল্লিক, বাদল মল্লিক দলের লোকজনদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও এলাকার খারাপ ব্যাক্তিদের নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার মেয়ে জামাই মোঃ আলমগীর মাতুব্বর(৬০) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন, ইসমাইল খান (৩০) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন, মোঃ আসাদ খান(১৪) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন, আইয়ব আলী (৬৫), মোঃ ছোবাহান মাতুব্বর (৬০) সিরাজ জমাদ্দার(৫০), উমর আলী মাতুব্বর(২৫) এরা সকলেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ঘরে ভাংচুর করে টাকা পয়সা জোরপুর্বক বেআইনীভাবে লুটপাট করে নিয়ে যায়। এব্যপারে ২৩/০২/১৬ তারিখে ডাসার থানায় মোঃ ছোবাহান মাতুব্বর (৬০) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ০৩/১৬।
এ ব্যাপারে বালিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়াম্যান জনাব মতিন মোল্লার কাছে জানার জন্য মোবাইল ফোনে কল করলে সে ফোনটি রিসিভ করেনী।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ আব্বাস আলী বলেন আমি মামলা তদন্ত করিতেছি প্রাথমিক ভাবে মামলার ঘটনার সত্যতা পাই ৭জন লোক গুরুতর আহত হয়ে ঢকা মেডিকেলও ফরিদপুর মেডিকেল এবং মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এবং ১২ টি বসত ঘর ভাংচুর করেছে এর প্রমান পাওয়া গেছে। আসামীদের ধরার অভিযান চালাচ্ছি।
ডাসার থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এমদাদুল হক বলেন মামলার তদন্ত ও আসামী ধরার অভিযান অব্যাহত আছে, সকল অপরাধীকেই আইনের আওতায় আনা হবে।