বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, আফ্রিকার বাইরে যেসব দেশে এখনো মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি সেসব দেশে এ ভাইরাসের বিস্তার এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আফ্রিকার বাইরে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে ১৬টি দেশে। এ পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলো। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণে সাধারণত ফোস্কা হয় এবং জ্বর হয়।
আফ্রিকায় এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়ায় প্রায়শই। তবে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় এত দিন রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি।
সোমবার ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া ভ্যান কারখভ বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘মানুষ থেকে মানুষে যাতে এ ভাইরাস না ছড়ায়, এটা আমরা চাই। যেসব দেশে এ ভাইরাস এখনো ছড়ায়নি সেসব দেশে আমরা এমন পদক্ষেপ নিতে পারি।’
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানায়, মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত বেশির ভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে মাঙ্কিপক্স তেমন গুরুতর না হলেও হঠাৎ রোগটির প্রাদুর্ভাব বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ রোগে সংক্রমিত ব্যক্তিদের তিন সপ্তাহ স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মাঙ্কিপক্স নিয়ে ‘ভয়াবহ’ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব। এসব বিষয়ে বিশ্বকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।