স্টাফ রিপোর্টার: চীনের সান ইয়াৎ সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ সালের জুলাই মাসে গৃহীত তিয়ানকিন নামের মহাকর্ষীয় তরঙ্গসংকেত গবেষণা প্রকল্প সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরির (লিগো) গবেষকেরা সম্প্রতি মহাকর্ষীয় তরঙ্গসংকেত আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের গবেষক দল লিগো কোলাবোরেশন বলছে, প্রথমবারের মতো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানে নতুন যুগের সূচনা হবে। নতুন এই আবিষ্কার বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বে আরও উন্নত গবেষণার জন্য গবেষকেদের উৎসাহী করে তুলেছে। অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স ইনস্টিটিউটের ডিন লি মিয়াওয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন মহাকর্ষীয় তরঙ্গসংকেত নিয়ে নিজস্ব গবেষণা বাড়াচ্ছে। লি দাবি করেন, তিয়ানকিন প্রকল্পে ইতিমধ্যে কিছু প্রযুক্তিতে অগ্রগতি অর্জন করা গেছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে চারটি ধাপে আরও উন্নতি করা হবে। এর মধ্যে শেষ ধাপ হচ্ছে সরাসরি মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করতে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ। চীনের গোয়াংডন রাজ্যে পাঁচ হাজার বর্গমিটারের একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও নতুন একটি পরীক্ষাগার তৈরিতেও উদ্যোগ নিচ্ছে চীন। এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহে কাজ করবে চীন। নিজস্ব গবেষণার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গবেষণায় চীনের গবেষক দল কাজ করবে।