1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
মরতে একদিন হবেই, সেটা নিয়ে চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী - প্রিয় আলো

মরতে একদিন হবেই, সেটা নিয়ে চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১৯৯
22

ছবিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মরতে তো একদিন হবেই, সেটা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই।

বুধবার জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সাংসদ ফখরুল ইমাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এমনই এক শ্রেণি আছে যারা ভাবে আমি থাকলেই তাদের যত সমস্যা। আমাকে অনেকবার হত্যার পরিকল্পনা করা হলেও আমি মরি না। মহান আল্লাহ কীভাবে জানি আমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন। মরতে তো একদিন হবেই। সেটা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই। ‘জন্মিলে মরিতে হবে/অমর কে কোথা কবে/চিরস্থায়ী কবে নীড়/হায়রে জীবন নদী…।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে আরেকটি শ্রেণির মানুষ আছে। সমস্যাটা তাদের নিয়ে। গণতন্ত্রের ধারা চললে তাদের কিছুই ভাললাগে না। যখন উন্নয়নের পথে দেশ এগিয়ে যায়, তারা উন্নয়নটা চোখে দেখে না। এরা চক্ষু থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির। তাদের মাথায় একটা চিন্তাই থাকে- দেশে যদি অস্বাভাবিক সরকার থাকে, অসংবিধানিক সরকার যদি আসে, তারা মনে করে তাদের একটু গুরুত্ব বাড়ে। কারণ, তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে। পতাকা পাওয়ার ইচ্ছা আছে। তাদের গবেষণায় বাংলাদেশের কোনো উন্নয়নই চোখে পড়ে না। এই শ্রেণিটাই সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক। মানুষের অকল্যাণ করার জন্যই তারা সবচেয়ে ব্যস্ত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে নিয়ে বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন হাজার বিশেষণ দিলেও আমার মাথা কখনও খারাপ হবে না। আমি বেতালা হব না- এটা আমি বলে দিতে পারি। ওগুলো আমার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। আমার চিন্তুা একটাই দেশের মানুষ ভাল থাকুক।’

ফখরুল ইমাম তার সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ‘সেন্টার ফর লিডারশিপ-২০১৭ মানবতার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম প্রকাশ করেছে। এখানে দ্বিতীয় হয়েছেন ফ্রান্সিস পোপ আর তৃতীয় হয়েছেন ধনকুবের বিল গেটস। ফখরুল ইমাম দাবি করেন, সেন্টার ফর লিডারশিপ উল্লেখ করে সেবার জন্য শুধু টাকা নয়, প্রয়োজন সাহস ও মমত্ববোধ। যা শেখ হাসিনার মধ্যে রয়েছে। প্রশ্নকর্তা শেখ হাসিনাকে বিদেশের কে কখন কী উপাধি দিয়েছে তা সংসদে তুলে ধরেন। এরপর তিনি বলেন, এতগুলো সম্মানসূচক কথা বলার পরে আমার তো মাথা ঠিক থাকতো না। এরপরও কি রামপাল বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে?’

এর জবাবে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি উনার কথা দিয়ে এত আলো জ্বালাবার পর হঠাৎ সুইচটা অফ করে দিলেন কেন?’ (এসময় হাসির রোল ফেলে আর টেবিল চাপড়িয়ে সংসদের ফ্লোর মাতিয়ে তোলেন এমপিরা)।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রয়োজন তো বিদ্যুতের জন্য, দেশের জন্য, উন্নয়নের জন্য; দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য। তাদের জিজ্ঞাসা করে দেখেন বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে কি না। আমি এটুকুই বলতে চাই, কি পাইনি তার হিসাব মেলাতে মন মোর নাহি রাজি। কি পেলাম, পেলাম না সেই হিসাব করি না। আমি কাজ করি দেশের মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য। আমার দায়বদ্ধতা হচ্ছে ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘যে যত বিশেষণ দিক আমার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। আমি শুধু একটা চিন্তা করি আমার মানুষ খেতে পারছে কি না। চিকিৎসা পাচ্ছে কি না। প্রতিটি মানুষের ঘর আছে কি না। আমি উচ্চবিত্তদের জন্য চিন্তা করি না। আমি তৃণমূলের মানুষদের নিয়ে চিন্তা করি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি একমুখে যখন বিশেষণও দেবে, আবার যদি একটু ঊনিশ থেকে বিশ হয় ওই মুখে গালিও দেবে। যে হাতে মালা দেবে সেই হাতে ঢিলও মারবে। কাজেই হাজার বিশেষণ দিলেও আমার মাথা কখনও খারাপ হবে না।’

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x