বাঁশখালী উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন সহ চট্টগ্রামে ৬ উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে পটিয়া ও আনোয়ার উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও বাকি ১৬ টি ইউপিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮ থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সেরেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আশা করছি কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি টহলে থাকবে র্যাবের টহল টিম। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রটরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে বাঁশখালী উপজেলা প্রায় ১৩ ইউনিয়নে নির্বাচনের নির্বাচনী উত্তাপ এরই মধ্যে ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। এ উপজেলায় ১৪ ইউপিতে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন নিয়ে আ.লীগের প্রার্থী মন্তব্য করায় চাম্বল ইউনিয়নের ভোগগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
অন্যদিকে, পটিয়ায় উপজেলার ছনহরা ইউপিতে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় শেষ মুহুর্তে নির্বাচন থেকে ছিটকে গেলেন মামুনুর রশিদ রাসেল। সোমবার দুপুরে সুপ্রীম কোর্টের আপিল ডিভিশনে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ ছিদ্দিকী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের যৌথ বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে মামুনুর রশিদ রাসেলের আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগেই ঋণ খেলাপির কারণে প্রার্থিতা বাতিল হয়।
এবার নির্বাচনে ১৮ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩২১ জন। মোট চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৯৪ জন।