ভারত, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের ত্রিপাক্ষিক হাইওয়েতে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আইএমটি বলে পরিচিত এই প্রকল্পের আগে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার বা বিসিআইএম নামে আলাদা একটি করিডোর হবার কথা ছিলো। কিন্তু তা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক হাইওেয়েতে যুক্ত হবার এই সুবিধা পেলে স্থলবেষ্টিত একাধিক দেশে ভারতের একচেটিয়া প্রভাব কমে যাবে। -ইকোনমিক টাইমস
১৭ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা জানান। এই হাইওয়েটি আশিয়ানের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে। পরবর্তীতে কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত যাবে এই পথ। ১৩৬০ কিলোমিটার আইএমটি প্রকল্পের আওতায় মিয়ানমারে দুটি প্রকল্প শুরু করেছে ভারত। একটি শুরু ভারতের মোরেহতে আর শেষ হবে থাইল্যান্ডের মাই সোট-এ। আরেকটি কাজ চলছে কেলগা-ইয়োগি রাস্তার। এই পথে তৈরি হচ্ছে ৬৯টি সেতু। বাংলাদেশ ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে তার পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে যেতে চায়। এজন্য বিবিআইএন নামে একটি প্রকল্পও আছে। তবে তা পুরোপুরি সচল নয়। বাংলাদেশের ভেতর দিয়েও সংযোগ চায় ভারত। ক্ষেত্রবিশেষে ভারত তা পেয়েছেও। ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর ও আখাউড়া স্থল বন্দর ব্যবহার করে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য পণ্য আমদানি শুরু হযেছে। এবার সুযোগ চায় ঢাকাও।