নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিতে তদন্ত কর্মকর্তা সুত্রাপুর থানার এসআই জাহিদুল হক এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে চিকিৎসক মাকসুদ রহমানের কোনো গাফিলতি আছে কি না তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি রুহুল কুদ্দস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার আপিলের রায় ঘোষণার সময় এ আদেশ দেন।
উক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে পুলিশের একজন ডিআইজিকে এবং চিকিৎসকের বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব, ডেন্টাল কাউন্সিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কারণে আসামিদের সাজা কমেছে কি না, জানতে চাইলে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনের জন্য নয়, সাজা কমেছে আসামিদের বয়স ও শিক্ষার্থী বিবেচনা এবং আদালতের ক্ষমতায়। তবে মিডিয়ায় যেভাবে কোপানোর দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তাতে তার শরীরে অনেকগুলো আঘাত থাকার কথা। সে বিষয়টি প্রতিবেদনে না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বিশ্বজিতের শরীরে একটি কাটা ও দুটি জখমের চিহ্নের কথা বলা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে একটি কাটা ও একটি জখমের চিহ্নের কথা বলা হয়।