1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
বাবা-মা ও বোন হ’ত্যায় মেহজাবিন আটক - প্রিয় আলো

বাবা-মা ও বোন হ’ত্যায় মেহজাবিন আটক

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
  • ১৬৪
Image 135293 1624098474

স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুরের হামিদা পাম্পের পাশের গলির একটি বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের এক মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারটির আরেক সদস্য মেহজাবিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার (১৯ জুন) সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই পরিবারের শিশুসহ আরও দু’জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে পারিবারিক কলহের জেরে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি কী মেহজাবিন ঘটিয়েছেন? নাকি তার স্বামী শফিকুল ইসলাম ঘটিয়েছেন সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন টিম।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে- ঘটনাটি মেয়ে মেহজাবিন কর্তৃক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

পুলিশ জানায়, ওই বাসা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪৫) এবং তাদের মেয়ে জান্নাতুল (২০) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে যে দু’জনকে ভর্তি করা হয়েছে, তারা হলেন মাসুদ রানার আরেক মেয়ে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের ৫ বছরের মেয়ে মার্জান তাবাসসুম।

পুলিশ ধারণা করছে, গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে তাদের গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকের গলায় দাগ রয়েছে। গলায় কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

জানা গেছে, ঘটনায় আটক মেহজাবিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক রকমের তথ্য দিচ্ছে। অসংলগ্ন তথ্যের কারণে সন্দেহের তীর তার দিকেই যাচ্ছে।

কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, এ ঘটনায় ওই পরিবারের সদস্য মেহজাবিনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি সে’ই ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে, মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলামও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। শফিকুল এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষ, নেশাজাতীয় দ্রব্য কিংবা ঘুমের ওষুধ কৌশলে প্রয়োগ করানোর পর দুর্বল করে তাদের হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহামেদ বলেন, ‘কেন ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আমরা দ্রুতই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।’

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x