1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
বাজেট ৫ গুণ বৃদ্ধি করেছি : প্রধানমন্ত্রী - প্রিয় আলো

বাজেট ৫ গুণ বৃদ্ধি করেছি : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬
  • ১৮০
Hasina1459082695

নিজস্ব প্রতিHasina1459082695বেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, `যখনি আমরা ক্ষমতায় আসি তখনি এদেশের মানুষ সত্যিকারভাবে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে পায়। দেশের মানুষের উন্নতি হয়। আজকে আমরা আমাদের বাজেট পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করেছি। আমরা বেতন শত ভাগের ওপর বৃদ্ধি করতে পারলাম। পৃথিবীর কোনো দেশ এত বেতন বৃদ্ধি করতে পারেনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনকিছু দিয়েই মানুষকে সুখী করা যায় না। বাঙালিকে সুখী করা খুব কষ্টকর। যতই দেওয়া যায় ততই বলে আরও চাই, আরও চাই। এটা হল বাস্তব কথা।’

রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়নে রোববার আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলে থাকেন ৭ মার্চ কেন ওনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। আসলে তাদের কোনো ধারণাই নাই। স্বাধীনতার ঘোষণা তো তিনি ৭ মার্চ দিয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তান সেটা ধরতে পারেনি। কারণ তারা কীভাবে ধরবে। কিন্তু বাঙালির কাছে যে বার্তা সেটা ঠিকই চলে গেছে। এখন অনেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা কথার বলার চেষ্টা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। কিন্তু সেই দিন এখন আর নেই। সেটা পেরেছিল বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হত্যার পরে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এখন কেউ আর বিভ্রান্ত হওয়ার নয়। এখন সকলে ইতিহাস জানতে পেরেছে।

স্বাধীনতা উত্তর ও পরবর্তী সময়ের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন রাষ্ট্রদর্শন ও নীতি তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা আরো বলেন, স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিন তিনি কাজ করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হবে। সেটা কীভাবে হবে তা প্রতিটি পদক্ষেপও ছকে বাধা ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। দেশটা যখন সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল তখনি একদল নেমে পড়ল এটা হয় নাই, ওটা হয় নাই। এটা হচ্ছে না, ওটা হচ্ছে না। তারা নানা ধরনের কথাবার্তা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করল। কাদের স্বার্থে, কাদের পয়সায় তারা এসব করেছিল, এটাও একটা গবেষণার বিষয় আছে। কারণ সেইগুলো করে করে তারা বঙ্গবন্ধুকে হেয় করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পরাজিত শক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়ে ২১টি বছর এদেশে মানুষকে শোষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষের কোনো অর্থনৈতিক উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার কোনো সুফলই তারা পায়নি। বঙ্গবন্ধুর সময় সাড়ে তিন বছরে যতটুকু পেয়েছিল তার পর থেকে শুধু বঞ্চনা। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে একটার পর একটা ক্যু হয়েছে। দেশটা একটি খুন-খারাবির রাজত্বে পরিণত হয়েছিল। সারা রাত কারফিউ ছিল। মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারত না। এমন একটি দম বন্ধ করা পরিবেশে বছরের বছর দেশের মানুষকে কাটাতে হয়েছে এবং কখন কি হয় সবাই একটি আতঙ্কে থাকত।

শেখ হাসিনা বলেন, এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষের জীবনে আশা-ভরসা এসেছিল। একটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছিল। কিন্তু ২০০১ সালে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যে কায়দায় মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে সেই একই কায়দায় আবারও অত্যাচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশের অর্থনীতি একটি খুব মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। এটা খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যখন স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলছি। দেশ যখন উন্নয়নের পথে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। তখন নানাভাবে আমাদের সরকারকে হেয় করার চেষ্টায় অনেকে ব্যতিব্যস্ত থাকবে; যা খুবই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমরা তার আদর্শে বিশ্বাসী। তার জীবনের স্বপ্ন ছিল, দেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করবেন। আমরা কিন্তু এই লক্ষ্যটা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। কিছু না পারি, অত্যন্ত কেউ গৃহহারা থাকবে না। নিদেনপক্ষে একখানা টিনের চালার ঘরও দিতে পারি, আমরা সেটা করে দেব এবং এটা করে দিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে কেউ একটু কাজ করতে চাইলে করে খেতে পারে। সেই সুযোগটি আমরা করে দিচ্ছি। আর যারা হতদরিদ্র কাজ করতে পারে না তাদের আর্থিক সাহায্য দিচ্ছি। যেন কোনো মানুষ বঞ্চিত না হয়। হয়ত আমরা তাদের পূর্ণ চাহিদা মিটিয়ে দিতে পারছি না। কারণ আমরা এটা চাই না, সবাইকে ভাতা দেব, আর সবাই বসে খেয়ে জীবন চালাবে। কারণ সবাইকে কাজ করতে হবে। কারণ এদেশের সম্পদ জনগণের সম্পদ। সবাইকেই এটা নিজের সম্পদ হিসেবে ভাবতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে এটাকে রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে কেউ খাবে, কেউ খাবে না। এটা এখানে হবে না। এটা জাতির পিতার নীতি ছিল না। আমরা এই নীতি থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। এই কারণেই আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা পরাজিত শক্তির দোসর ছিল তাদের এটা ভাল লাগবে না। তাদের তো ভাল না লাগারই কথা। আজকে এখানে কেউ একটা বক্তৃতায় বললেন, আমাদের কোনো এক দলের নেত্রী গেছেন স্মৃতিসৌধে। মুখটা খুব করুণ। মুখে নাকি হাসি নাই। হাসি আসবে কোথা থেকে। তার পেয়্যারের লোকগুলির একে একে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি হচ্ছে। শাস্তি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। যার যার দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে। সেই নির্বাচনে খুব যে তাদের গরজ তাও তো দেখি না। কেমন যেন এটা ভাসাভাসা ভাব। শুধু সরকাররের বিরুদ্ধে বক্তব্যই দিয়ে যাচ্ছে। এটা হল না। ওটা হল না। কিন্তু তাদের নির্বাচনের কর্মকাণ্ডটা কোথায়? শুধু নালিশ করা। নালিশ করে কি হচ্ছে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার একটাই কথা, আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস, অনেক রক্ত, বেদনার মধ্য দিয়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। এত রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না। এত আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না। কাজেই আমরা তা বৃথা যেতে দেব না। এই বাংলাদেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় গড়ে তুলব।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফার মর্মবাণী পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক গোষ্ঠী উপলব্ধি করতে পেরেছিল মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ৬ দফা দেওয়ার পর যখনি তিনি বক্তব্য দিতেন তখনি তাকে গ্রেফতার করা হত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি পরিবারের সদস্য হিসেবে অনেক কিছু জানতাম। কিন্তু বাইরে বলতে নিষেধ ছিল। বঙ্গবন্ধু মাঝে মাঝে হাতের আঙুল তুলে দেখাতেন। আর বলতেন এই ছয় আঙুল নয় আসলে ছয় দফার অর্থ হল এক দফা।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x