বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং কঠোর পরিশ্রম করে সফলভাবে দেশের বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাবার রোল মডেল।
রোববার ঢাকায় একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অ্যান্ড কমার্স (বিআইসিসি) আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস : চ্যালেঞ্জজেস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আলোচনা সভায় কী-নোট উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের লিড ইকনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। আইসিসি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি. মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিপিডির নির্বাহি পরিচালক প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেকটর নিক বারেসফোর্ড ।
বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছিল, তা সফল ভাবে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করে ব্যবসার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশে নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা নিশ্চিত করা গেলে, উন্নয়নে কোন সমস্যা নেই।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের রপ্তানি, রিজার্ভ, রেমিটেন্সসহ সব অর্থনৈতিক সূচকই উর্ধ্বমূখী। এখন চ্যালেঞ্জ হলো এগিয়ে যাবার। দেশের গ্রামীন উন্নয়ন এখন চোখে পরার মত। দেশের মানুষ খুশি। বাংলাদেশ এখন কোন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, মিরাক্কেল। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান থেকে সব ক্ষেত্রেই এবং ভারতের সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছিল, সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে এসেছে। শ্রমিকদের অধিকার ও শ্রম আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, অথচ কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কোন অভিযোগ নেই। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং প্রাপ্ত বেতনে সন্তুষ্ট। কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করে শ্রমিকরা খুশি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে রপ্তানি আয় হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসবে শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। দেশব্যাপী ১০০টি স্পেশাল ইকনমিক জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০টির কাজ শুরু হয়েছে। দেশে এখন গ্রিন ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা বাড়ছে।