1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভাল’ - প্রিয় আলো

‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভাল’

  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭
  • ২৮৮
12

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার অংশ।

রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

দারিদ্র বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সূচকগুলো তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে মুক্ত করেছেন। প্রকৃত অর্থে ক্ষুদ্রঋণ হচ্ছে সম্মানের সাথে ভিক্ষাদান। আমাদের দেশে এই বিষয়টি বিস্তৃতি লাভ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর।

এ সময় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাংলাদেশে বিস্তৃতি লাভ করে এবং দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মাইক্রো ক্রেডিটের মাধ্যমে ঋণের জালে জড়িয়ে ফেলে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মাইক্রো ক্রেডিটের পরিবর্তে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র অনুদান প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেকক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভাল। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর নিরাপত্তা আইনের আওতায় প্রায় ১১’শ মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের বেশীরভাগই কালো মানুষ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এ কারণে সেখানে ‘কালো মানুষের জীবন মুল্যবান’ নামক একটি আন্দোলন গড়ে উঠেছে।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০১৬ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত যে বৈশ্বিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বোস্টনে যখন বোমা হামলা হয় তখন মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একজন নিহত হয় এবং আরেকজন নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেন। এমনকি অতি সম্প্রতি একজন বন্দিকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়াও সেখানকার বিভিন্ন কারাগারে যে কাহিনী তা পৃথিবীর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা আজকে পৃথিবীর মানুষ জানে। তাই বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেকাংশে ভাল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে জঙ্গি দমন করেছে তা অনেকাংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও সফল হয়েছে। বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সন্ত্রাসীরা তখনই গুলিতে নিহত হয় যখন তারা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি চ্যালেঞ্জ জানায় বা গুলি ছুড়ে। আর তখনই সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর নজর দেয়ার অনুরোধ জানাব।’

ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী অনেক সময় অনেক বিষয়ে কথা বলেন। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার অংশ। আওয়ামী লীগে যে কেউ তার নিজস্ব মত প্রকাশ করতে পারেন। তার উদাহরণ হচ্ছে অকপটে অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করা। আওয়ামী লীগে যে আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে; সেটি তার বহিঃপ্রকাশ।’

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x