1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
বদলে যাচ্ছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নাম - প্রিয় আলো

বদলে যাচ্ছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নাম

  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭
  • ২২৬
Poribesh

ডেস্ক রিপোর্ট : সরকার ‘পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ মন্ত্রণালয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ কমিটির (ন্যাশনাল কমিটি অন এনভায়রনমেন্ট) চতুর্থ সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে জাতীয় পবিবেশনীতি ২০১৭’র খসড়া এবং পরিবেশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ‘জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনার (কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্লান-সিআইপি)’ খসড়াও অনুমোদন পেয়েছে।

এর আগে ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিবেশ কমিটির তৃতীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও এদিন পর্যালোচনা হয়।

প্রেস সচিব জানান, এদিন বৈঠকে মোংলা বন্দর এলাকায় পরিবেশবান্ধব নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান করার অনুমোদন দেয়ারও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে কৃষি জমি রক্ষার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘উন্নয়ন হতে হবে খুবই পরিকল্পিত,’।

তিনি আরো জানান, সরকার প্রধান চাষের জমি রক্ষা করার পাশাপাশি অহেতুক গাছ না কাটা এবং নতুন আবাসন এলাকা ও শিল্পাঞ্চলে জলাধার রাখার কথাও বলেছেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলে সবুজবেষ্টনি গড়ে তোলার তাগিদ দেন। সুন্দরবনকে সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসাবে উল্লেখ তিনি নতুন বনায়নের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য কেউ যাতে সুন্দরবনের গাছ না কাটে, সেজন্য ওই এলাকায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হয়েছে।

প্রেস সচিব জানান, অতিবৃষ্টিতে জনভোগান্তির প্রসঙ্গ বৈঠকে উঠলে প্রধানমন্ত্রী এর ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতিবৃষ্টি নদীর দূষণ রোধ করার পাশাপাশি লবণাক্ততা কমায়।’ নদী রক্ষায় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, দূষণ এড়ানো না গেলে নদী নষ্ট হয়ে যাবে। ঢাকাকে ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদী দূষণমুক্ত রাখতে হবে।

বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ২২ শ্রাবণ প্রয়াণ দিবসে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করেন। কৃষকদের উন্নয়নে কবিগুরুর বিভিন্ন অবদানের কথাও তিনি এ সময় তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশতিয়াক আহমেদ বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

তথ্যসূত্র : বাসস

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x