1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
ফেসবুক বন্ধের ক্ষমতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই - প্রিয় আলো

ফেসবুক বন্ধের ক্ষমতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ২৭১
123

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  ‘ফেসবুক বন্ধ রাখার ক্ষমতা আমাদের নেই। এটি যেসব মাধ্যম দিয়ে পরিচালিত হয় তা পরীক্ষার সময় একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাদেরকে আমরা সমস্যার কথা বলেছি। তারা পজিটিভলি সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন।’

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন। আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রশ্ন ফাঁসরোধে পরীক্ষা চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা তাদের বলেছি, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানাভাবে ছড়িয়ে (প্রশ্নপ্রত্র) ফেলার চেষ্টা করা হয়, এই বিষয়ে আপনারা সাহায্য করতে পারেন। তারা খুব পজিটিভলি সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধে বিটিআরসি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিটিআরসি বলেছে এটি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আরো ইফেক্টিভ কতগুলো ব্যবস্থা তারা নেবে।

‘প্রশ্নফাঁসের মত এ ধরনের কাজ যারা করেন, এসব দুর্বৃত্তদের ধরিয়ে দেন, প্রতিহত করুন। তারা যেন আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে না পারে। এদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে-বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪, ২০১৫ সালে খুবই ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারে সেজন্য শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা নিয়েছেলিাম বন্ধের দিনগুলোতে। এতে আমাদের সময় বেশি লেগেছে। আমরা দুই কারণে এইচএসসিতে যে তারিখে নির্ধারিত ছিল সেই তারিখেই নিয়েছে। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং দ্বিতীয়ত, এইচএসসিতে মোটামুটি এডাল্ট হয়ে যায়। তাছাড়া হরতাল, আন্দোলন যা হয় তা কার্যকর হয় না।’

শিক্ষামন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, ‘এখনো কিছু (আন্দোলন) ডিক্লার হয়নি। গরম গরম কথা হচ্ছে। আমাদের দেশে সব সময় এরকম গরম গরম কথা হয়। অনেক কিছু হয়, আমরা সবাইকে অনুরোধ জানাবো-তারা যদি ভালো মন্দ কোনো আন্দোলন করে থাকেন, যা কিছুই হোক না কেন, যেন জনগণের কল্যাণে রাজনীতি হয়। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমাদের ২০ লাখের বেশি ছেলে-মেয়ের পরীক্ষা ব্যাহত হয় এমন কাজ কেউ করবেন না।’

‘আশা করি ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে এমন কোনো কর্মসূচি আপনারা দেবেন না, যাতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা রাজনীতি করেন তারা তো জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রাখার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইল-যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

স্থায়ীভাবে ‘কোচিং সেন্টার বন্ধ করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোচিং সেন্টার পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি কেউ কোচিং সেন্টার চালান তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোচিং সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা আইন হলেই কোচিং সেন্টারগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা হবে।’

আগেভাগেই পরীক্ষার হলে উপস্থিতির জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যানবাহন ও দূরত্ব বিবেচনায় পরীক্ষার্থীদের আগেভাগেই পরীক্ষার হলে চলে আসতে হবে। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার অনুরোধ করছি। যাতে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে নির্ধারিত আসনে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা বসতে পারে।

তিনি বলেন, নাম বিভ্রান্তির কারণে অনেক সময় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজে পান না-তাই দুই একদিন আগেই অভিভাবকরা যেন তাদের নির্ধারিত কেন্দ্রের নাম ঠিকানা খুঁজে নেন। যাতে পরীক্ষার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।

সারা দেশে অভিন্ন ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে এবারের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে, শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ মার্চ। এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন। ছাত্রের সংখ্যা ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২। ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬২৭ জন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা (মাধ্যমিক) সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) অরুনা বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ ও ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, মাউশির ডিজি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x