আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২১ বছরের যুবক ‘সাই’ স্বপ্ন দেখেছিল ফিল্মস্টার হওয়ার। এক সময় সে বুঝতে পারে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে অনেক টাকা দরকার । তাই সে টাকা যোগাড়ের সহজ পথ হিসাবে সিদ্ধান্ত নেয় বন্ধুকে অপহরণের। আবার ফিল্ম দেখেই সাজায় অপহরণের ছক । মুক্তিপণ না পেয়ে খুনও করে ফেলে বন্ধুকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ভারতের হায়দরাবাদের ।
ঘটনাটি সিনেমার চিত্রনাট্য মনে হলেও আসলে বাস্তবেই ঘটেছে এই ঘটনা। হায়দরাবাদে এক কিশোর খুন এবং অপহরণের পিছনে এমনই ঘটনা রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ফিল্মস্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতেই ‘সাই’ তার বন্ধু অভয়কে অপহরণ করেছিল । খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার মহেন্দ্র রেড্ডি বলেন, ‘অপহরণের অভিযোগে ধৃত সাই জেরায় জানিয়েছে যে, তার স্বপ্ন ছিল বড় ফিল্মস্টার হওয়ার। স্বপ্নপূরণ করার জন্য টাকা জোগাড় করতে একটা সিনেমা দেখে সে অপহরণের ছক কষে ফেলে। প্রায় ছ’মাস আগে থেকে সে অভয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। একদিন হঠাৎ করেই অপহরণ করে অভয়ের অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ চায় সে।’
অভয় হায়দরাবাদের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৬ মার্চ স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পর শাহ ইনায়াতগঞ্জে তার বাড়িতে ফিরে এসেই কিছু খাবার কিনে আনতে সে বেরিয়ে যায়। বাড়ি থেকে খুব একটা দূরেও নয় সেই দোকানটা। কিন্তু সেখান থেকেই অভয়কে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। অনেক ক্ষণ পরেও ছেলে বাড়ি ফিরছে না দেখে অভয়ের বাবা রাজকুমার শাহ ইনায়াত গঞ্জ থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। এর পর রাত দশটা নাগাদ হঠাৎই অভয়ের বাবাকে অপহরণকারীরা টেলিফোন করে জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছেলের জন্য তাঁকে মুক্তিপণ বাবদ ১০ কোটি টাকা দিতে হবে। আর সেই টাকাটা দিতে না পারলে পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুন করে ফেলা হবে অভয়কে।
পরে একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে কার্টনের ভিতরে অভয়ের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।