প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) নির্বাহী সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের প্রকল্প এলাকায় স্থানীয় জনগণের লবণ উৎপাদনের পর যে লবণাক্ত বর্জ্য পানি আসে তা থেকে পানীয় পানি উৎপাদনের পন্থা অন্বেষণে জাইকা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। বলেন, বর্জ্য পানিতে প্রচুর লবণ থাকে এবং সেক্ষেত্রে কম পানি ব্যবহার করে অনেক লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হওয়ায় স্থানীয় মানুষ এতে উপকৃত হবে।
এ প্রস্তাবের প্রশংসা করে জাইকা কর্মকর্তা বলেন, এটা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক নজরুল ইসলাম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাপানে তার গত সরকারি সফরকালে ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ইশতেহার অনুযায়ী মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআইডিআই) পরিচালনা করার জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন।
জবাবে, মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এমআইডিআই -এর সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে জাইকা।
জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মেগা প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় আগামী বছরের শুরুতে মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া এ বছরই গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রবেশ পথ চালু হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে উপস্থিত ছিলেন।