গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ একেই বলে ভাগ্যের চাকা! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যানে চড়ানো সেই ইমাম শেখকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হচ্ছে।
রোববার সকালে যশোর বিমানবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল ইমাম শেখকে যশোর অফিসে নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইমাম শেখ পঞ্চম শ্রেণি পাস। যোগ্যতা অনুযায়ী ইমাম শেখকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের চড়া ভ্যানটি জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
ইতিবৃত্তান্তঃ
ইমাম শেখ বলেন, ‘শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) আমি পাটগাতী স্ট্যান্ডে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম যাত্রীর অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রীর সফরে দায়িত্ব পালনকারী দুই কর্মকর্তা আমার ভ্যানে উঠে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধে যেতে বলে। আমি সমাধি সৌধের কাছে এলে নিরাপত্তা কর্মীরা আটকে দেয়। পরে ভ্যানে থাকা ওই দুই কর্মকর্তা তাদের পরিচয় দিলে আমাকে ভ্যান নিয়ে সমাধি সৌধের ১নং গেটে যেতে দেয়।সেখানেই প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা আসেন। প্রধানমন্ত্রী ভ্যানে চড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেখানে আমারসহ দু’টি ভ্যান ছিল। নিরাপত্তা কর্মীরা আমার ভ্যান পছন্দ করেন। আমাকে চেক করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী ভ্যানে ওঠেন। উঠে জিজ্ঞাসা করেন- ‘তুমি ভ্যান চালাও’ । আমি উত্তরে বলি ‘হ্যাঁ’ ।
তারপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে আমার বিদ্যুৎ নষ্ট করছো’। বলেই হেসে দেন। আমিও হেসে দিই। নিজের ভ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করে তার নতুন বাসভবনে যাই। প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা অন্য রকম আনন্দে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে চালিয়ে যাই।’
নতুন বাড়িতে পৌঁছে ভ্যান থেকে নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যানচালক ইমামকে ৫০০ টাকা বের করে দেন। ইমাম টাকা নিতে অস্বীকার করে। শেখ হাসিনা তার ভ্যানে চড়েছেন – এতেই সে মহাখুশি। এ কারণে টাকা নিতে অস্বীকার করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা ইমামের পকেটে টাকা গুঁজে দেন।