1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
নির্বাচনী সংঘাত : বরিশালে ১০ দিনে নিহত তিন, আহত ৪ শতাধিক - প্রিয় আলো

নির্বাচনী সংঘাত : বরিশালে ১০ দিনে নিহত তিন, আহত ৪ শতাধিক

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬
  • ২০১
Union Parisad Nirbachon

Union-Parisad-Nirbachonনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: থামছে না দেশের দক্ষিণের জনপদে নির্বাচনী সংঘাত। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদিনই চলছে হামলা, ভাঙচুর, হত্যা আর সংঘর্ষ।

গত ১০ দিনে বরিশাল বিভাগের ২৭২টি ইউনিয়নের অর্ধশত সংঘর্ষ আর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত আর চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে ভোলা জেলায় সর্বাধিক একজন নিহত ও ১৫৫ জন আহত হয়েছেন। এরপরই বরিশাল জেলায় আহত হয়েছেন ৭২ জন, পিরোজপুরে একজন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়েছেন। পটুয়াখালীতে একজন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঝালকাঠীতে ৩৮ জন এবং বরগুনায় ২৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সূত্র মতে, গত ৩ মার্চ বরিশালের ২৭২টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ২০৭জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা মাঠে নামে। এরপর থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ আর সংঘাতের ঘটনা। গত ১০ দিনে এ বিভাগের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

গত ৪ মার্চ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ও দপদপিয়া ইউনিয়নেপৃথক সংঘর্ষে ৭ জন, পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন।

৫ মার্চ গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের পৃথক সংঘর্ষে ৭ জন, বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ৭ জন, মঠবাড়ীয়ার হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের সংঘর্ষে ২৫ জন এবং ভোলার লালমোহনে সদর ইউনিয়নে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন।

৬ মার্চ গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ও সরিকল ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা-পাল্টা হামলায় ২০ জন ও বানারীপাড়ার চাখারে ৫ জন আহত হন।

৭ মার্চ মঠবাড়িয়া উপজেলার হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নে সংঘর্ষে আহত হন ৫ জন, টিকিকাটা ইউনিয়নের আহত হন আরো ৫ জন। ৮ মার্চ বরগুনার তালতলীর শারিখ খালী ইউনিয়নে একজন গুলিবিদ্ধসহ ওই দিন পটুয়াখালীর বাউফলে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আশ্রাফ আলী ফকিরকে (৩৫) হত্যা করা হয়। বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় ২৫ জন, পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে সংঘর্ষে ২০ জন, ভোলার বোরহানউদ্দিনে পক্ষিয়া ইউনিয়নের সংঘর্ষে ৫ জন এবং কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।

৯ মার্চ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় শেখ মাটিয়া ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা সামসুল হক ছট্টুকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ভোলার চরফ্যাশনে রসুলপুর, হাজারীগঞ্জ, এওয়াজপুর, কলমী ও আবুবকরপুর ইউনিয়নে পৃথক সংঘর্ষে ৫০ জন, ঝালকাঠির নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নে সংঘর্ষে ২০ জন এবং ভোলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হন।

১০ মার্চ মঠবাড়িয়ায় মিরুখালী ইউনিয়নে সংঘর্ষে আহকত হন ৭ জন এবং ঝালকাঠির গাভারামচন্দ্রপুরে ৭ জন।

১১ মার্চ ভোলা সদরের চরসামাইয়া ইউনিয়নের হামলায় সিরাজ (৫৫) নামের এক কর্মী নিহত হন। এ ছাড়া ওই দিন বরগুনার বেতাগীতে সদর ইউনিয়নে সংঘর্ষে ২ জন, ভোলার বোরহানউদ্দিনে কুতবা ইউনিয়নে ১৫ জন, ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় আহত হয়েছেন ৭ জন।

১২ মার্চ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় টবগি ইউনিয়নে সংঘর্ষে ৫০ জন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নে ৩য় দফা সংঘর্ষে ১০ জন, নলছিটি উপজেলার মোল¬ারহাট ইউনিয়নে সংঘর্ষে ৪ জন, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নে সংঘর্ষে ৪০ জন এবং পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠীর সারেংকাঠী ইউনিয়নে ১০ জন আহত হন।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x