জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল’।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভূমিকা পালনের জন্য যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন, তাদের নিয়ে বিতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু সেখানে বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
বিতর্কের কারণে ২০০৬ সালে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কেএম হাসানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশের কথা স্মরণ করে দলটির এই নীতিনির্ধারক প্রশ্ন তোলেন, এখন নুরুল হুদা কি করবেন?
‘একসময় বিএনপি করার অভিযোগে ২০০৬ সালে তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি আত্মমর্যাদাশীল মানুষ, সেই দায়িত্ব গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। এখন যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি কী করবেন, সেটা তিনি ভালো বুঝবেন।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি মন্তব্য করে নজরুল বলেন, ‘সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি ও তরিকত ফেডারেশনের দেওয়া তালিকা থেকে তিনজন কমিশনার হয়েছেন। এই অস্বাভাবিক ঘটনার পেছনে অবশ্যই কোনো আধ্যাত্মিক কারণ আছে।’
সংগঠনের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।