1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা - প্রিয় আলো

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭
  • ২৭২
90

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলা দুইটিতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের জন্য দিন ধার্য ছিলো। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।

শুরুতে খালেদা জিয়ার হাজিরা দাখিল করেন তার আইনজীবীরা। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বামদলগুলোর হরতাল চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত এ হরতাল চলবে। হরতালে বিএনপির সমর্থন রয়েছে। এজন্য খালেদা জিয়ার আদালতে উপস্থিতির জন্য দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় চান তিনি। হরতাল শেষ হলে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হবেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলা দুইটিতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের তারিখ ধার্য আছে। তারা খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দিয়েছেন। আমরা তার জন্য অপেক্ষা করি।

এরপর বিচারক বলেন, খালেদা জিয়া উপস্থিত নাই। হাজিরা দিলেন কীভাবে? এটা দেওয়া যায়। আর হরতালের প্রভাব তো দেখলাম না। আমি যানজটে আটকে ছিলাম। আমার আসতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। আপনারা আসতে পারছেন, আমি আসতে পারছি, তাহলে খালেদা জিয়া আসতে পারবেন না ।

বিচারক দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের কার্যক্রম শেষ করে আগামী ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন বিচারক।

পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচার চলছে। মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর বিদেশে অবস্থানকালে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর ১৯ অক্টোবর দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া। ওই দিন খালেদা জিয়া তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ধার্যকৃত তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে মামলার প্রতি ধার্যকৃত তারিখে আদালতে হাজিরা দেন খালেদা জিয়া।

গত ১৯ ও ২৬ অক্টোবর এবং ২, ৯, ১৬ ও ২৩ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। তবে তার বক্তব্য শেষ হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x