তিন জন হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন তুহিন গ্রেপ্তার
আপডেট সময়
রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮
২৪৮
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন পরিবারের বড় ছেলে তুহিন শেখকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল শুক্রবার খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা গ্রামের জনৈক ফেরদৌস মেম্বারের বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, শামীমা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা, খালা ও ছোট ভাইকে নিজ হাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তুহিন। পরে পাবনার আমলী আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল মমিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
স্বীকারোক্তিতে হত্যার কারণ সম্পর্কে তুহিন পুলিশকে জানিয়েছে, নয় মাস আগে ভালোবেসে পরিবারের অমতে তিনি রুনা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের বাড়িতে থাকা খালা মরিয়ম খাতুনসহ পরিবারের লোকজন তুহিনের স্ত্রীকে মাঝে মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালিগালাজ ও কটূক্তি করতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ভোরে তুহিন প্রথমে তার খালা মরিয়ম খাতুন ওরফে নছিমনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাইরে এনে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় তার মা তাসলিমা খাতুন ওরফে বুলি খাতুন ও ছোট ভাই তুষার এগিয়ে এলে তাদের গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন তুহিন।
তুহিনের স্ত্রী রুনা খাতুন গোঙানির শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখেন বাড়ির উঠানে তিনজনের রক্তাক্ত লাশ। পাশে তার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র হাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তুহিন স্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলে ‘তিনটারেই শেষ করে দিলাম’। এ ঘটনায় রুনা খাতুনও হত্যার বিষয়ে আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বুধবার ভোরে বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা তাসলিমা খাতুন ওরফে বুলি, ছোট ভাই তুষার ও খালা মরিয়ম খাতুন ওরফে নছিমনকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে ওই গ্রামের মিঠু শেখের বড় ছেলে তুহিন শেখের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর নিহত দুই বোনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।