প্রিয়আলো, ক্রীড়া ডেস্ক: টাইগার স্পীড তাণ্ডব তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠায় বিতর্ক উঠেছে সাইবার জগৎসহ সাঁরা বাংলাদেশে। এমনকি কোচ হাথুরুসিংহে রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আইসিসির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে।
তাসকিন গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপসহ খেলেছেন অনেক গুলো সিরিজ। তখন কোন আম্পায়ার বা আইসিসি কর্মকর্তা অভিযোগের আঙ্গুল না তুললেও টি২০ বিশ্বকাপে দলের মূল হাতিয়ার হওয়ায় কী এই অভিযোগ?
তাসকিন এশিয়া কাপে দারুণ নৈপুণ্যের ধারাবাহিকতা টি২০ বিশ্বকাপেও ধরে রেখেছেন। টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন এই ডানহাতি পেসার। কিন্তু হঠাৎ করেই তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অবাক হয়েছেন অনেকেই।
সাইবার জগতে তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ভারতের জাসপ্রিত বুমরার অ্যাকশন নিয়েও কেন কথা উঠবে না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। দুইজনের বোলিং অ্যাকশনের ছবি পাশাপাশি রাখলে দেখা যায়, বল ডেলিভারি দেওয়ার সময় তাসকিনের চেয়েও অনেক বেশি বেঁকে যায় বুমরার হাত। নিয়ম অনুযায়ী ডেলিভারির সময় কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকানো যায় না।
তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহটা এসেছে অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার রড টাকার ও ভারতের সুন্দরম রবির পক্ষ থেকে। আর ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট। গত বছরের জুনে বাংলাদেশ যখন ভারতকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল, তখনও আম্পায়ার হিসেবে দেখা গিয়েছিল টাকারকে। ম্যাচ রেফারি ছিলেন পাইক্রফ্ট। সেসময় কোনো আপত্তি জানাননি তাঁরা। তাহলে এক বছর যেতে না যেতেই তাসকিন তাঁর বোলিং অ্যাকশনে কী এমন পরিবর্তন আনলেন যে তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে যেতে হবে, তা ভেবে পাচ্ছেন না অনেকেই।
উল্লেখ্য, তাসকিনের পাশাপাশি সন্দেহজনক বোলিংয়ের তালিকায় নাম আছে স্পিনার আরাফাত সানিরও। আগামী সাত দিনের মধ্যেই আইসিসি অনুমোদিত কোনো ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশের এই দুই বোলারকে। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ভারতে থাকায় সেই পরীক্ষাটা হবে চেন্নাইয়ে।