1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
ডোমারে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও, ডিমলায় ফুঁসে উঠছেন জনগন - প্রিয় আলো

ডোমারে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও, ডিমলায় ফুঁসে উঠছেন জনগন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬
  • ২১৪
.0

মহিনুল ইসলাম .0সুজন,নীলফামারী: নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় বিদ্যুতের দাবিতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছে বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।আজ মঙ্গলবার দুপুরে জোড়াবাড়ী ও বামুনিয়া ইউনিয়নের দুই শতাধিক বিক্ষুদ্ধ কৃষক মিছিলসহ ডোমার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘন্টাব্যপি ঘেরাও করে রাখে।

 

বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের আসার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ অফিসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। অফিসে কাউকে না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তাদের দাবী তুলে ধরেন।

 

তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১ মাস যাবত জোড়াবাড়ী, ভোগডাবুড়ী, কেতকীবাড়ী ও বামুনিয়া ইউনিয়নে বিদ্যুতের চরম অবস্থা বিরাজ করছে।

 

কৃষকরা জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। লোডশেডিং আর লো-ভোল্টেজের কারনে ওই ১ ঘন্টার বিদ্যুতের ব্যবহার করতে পারছেনা কৃষক। বোরো ক্ষেতে পানি দিতে না পারায় হাজার হাজার বিঘা জমির ধানক্ষেত মরে যাচ্ছে। বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা সেখান থেকে ফিরে এসে আবারো বিদ্যুৎ অফিসে অবস্থান নিলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ওই এলাকায় বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবেনা প্রতিশ্রতি দিয়ে তাদের বিদায় করে দেন।

 

এ দিকে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে একই জেলার ডিমলা উপজেলার জনগনও ক্ষোভে ফুসে উঠেছেন।টানা লোডশেডিংয়ের ফলে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বানিজ্যসহ কৃষকদের চাষ আবাদ নিয়ে কঠিন বিপাকে পড়েছেন তারা।অথচ এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের যেনো কোনো মাথা ব্যথাই নেই।

 

একাধিক এলাকাবাসী জানান,সরকার যখন একের পর এক বিদ্যুৎ  উৎপাদন কেন্দ্র চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছেন জনগনের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে তখন আমাদের  এলাকার (ডোমার) বিদ্যুৎ অফিসের এসব অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জনগনের সেবার কথা না ভেবে শুধু পকেট ভারী করতেই সব সময় ব্যস্ত থাকেন।

 

গত প্রায় এক মাস যাবত টানা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা ডিমলাবাসী দিনে গড়ে তিন ঘন্টা করেও বিদ্যুৎ পাইনা।টানা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারনে  আমাদের সন্তানেরা ভালো ভাবে লেখা পড়া করতে পারছেনা, পর্যাপ্ত পানির অভাবে আমাদের চাষাবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ক্ষেত ফেটে চৌচির হচ্ছে।
আর ব্যবসায়ীদের তো এভাবে চলতে থাকলে খুব বেশিদিন লাগবেনা পথে বসতে,বর্তমান যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া যে বেশির ভাগ ব্যবসা-বানিজ্যই অচল তা পাগলে বুঝলেও বোঝেননা ডোমার বিদ্যুৎ অফিসের এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীগন।

 
ডিমলাবাসী খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই চরম ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x