1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
ডিজিটাল আদালত : সিলেট থেকে নতুন ইতিহাস - প্রিয় আলো

ডিজিটাল আদালত : সিলেট থেকে নতুন ইতিহাস

  • আপডেট সময় বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬
  • ২৪৪
33
33

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

শামীমা বেগম, সিলেট : উপমহাদেশের ১৫৬ বছরের বিচারিক ব্যবস্থার ইতিহাস বদলে গেল আজ বুধবার থেকে। এই দীর্ঘ সময় বিচারিক ব্যবস্থার সাক্ষীর সাক্ষ্য হাতে লিখে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে আজ সিলেট থেকে শুরু হয়েছে এক নতুন ইতিহাসের। প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে সিলেটের আদালতে। আর এর মধ্য দিয়ে হাতে লিখে নয়, এখন থেকে সাক্ষীর সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করা হবে কম্পিউটারে, সরাসরি টাইপ করে।

 

সিলেট মহানগর দায়রা জজ, জেলা দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মিলিয়ে ৪৬টি আদালতের মধ্যে ২০টি আদালতে কম্পিউটারের সাহায্যে সাক্ষীর সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করা হবে।

 

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই প্রক্রিয়ারই উদ্বোধন করেছেন আজ।

 

জানা যায়, সাক্ষ্যগ্রহণ কর্মকাণ্ডে ডিজিটালাইজেশনের জন্য ইতিমধ্যেই সিলেটের আদালতগুলোতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সিলেটের ২০টি আদালতের প্রতিটিতে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় অর্থায়ন করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি)। জুডিশিয়াল স্ট্রেনথেনিং প্রজেক্টের (জাস্ট) আওতায় এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

 

সূত্র জানায়, এখন থেকে সিলেটের আদালতগুলোতে বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, বাদী-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের সামনে কম্পিউটার থাকবে। দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় আদালতে স্টোনোগ্রাফার কম্পিউটারে সাক্ষীর জবানবন্দি এবং আইনজীবীদের জেরা লিপিবদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নিজ নিজ কম্পিউটারে তা দেখতে পাবেন। এক্ষেত্রে কোনো অসংগতি থাকলে বিচারক তা সংশোধনের নির্দেশ দেবেন। এ ছাড়াও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কম্পিউটারে কম্পোজকৃত কপি আদালত সংশ্লিষ্টদের স্বাক্ষর সহকারে মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষকে সরবরাহ করা হবে।

 

এক্ষেত্রে বাদী-বিবাদী পক্ষের তাৎক্ষণিক আবেদনের প্রেক্ষিতে সাক্ষীর সাক্ষ্য তথা জবানবন্দি কিংবা আইনজীবীর জেরা সংশোধনের সুযোগ থাকছে। এতে করে আদালতের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে সংশ্লিষ্টদের মত। পর্যায়ক্রমে আদালতে এই ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম দেশের সব আদালতে শুরু হবে।

 

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে সিলেটের আদালতে ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে। এতে করে বিচারিক ব্যবস্থায় একটি নতুন ইতিহাসের সূচনা হল।

 

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল এ পদ্ধতিকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রাচীন বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ায় সময়, শ্রম ও অর্থের খরচের পরিমাণ কমিয়ে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে। সিলেটের ৪৬টি আদালতের মধ্যে ২০টিতে এ ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। আশা করছি এ পদ্ধতি সফল হবে।

 

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম সমিউল আলম বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য হাতে লিখে লিপিবদ্ধ করেন বিচারকরা। দিনের পর দিন এভাবেই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আজ থেকে যে ডিজিটাল পদ্ধতির যাত্রা শুরু হল, এতে করে বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হবেন।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x