গরমে অনেকেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় করলা রাখেন। ডায়াবেটিসের সমস্যায় মহৌষধি হল করলা। এতে রয়েছে এমন উপাদান, যা ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। করলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন। প্রতিদিন করলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর তেঁতো স্বাদের জন্য অনেকেই করলা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু করলা অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান্ধব একটি সবজি।
করলা নানাভাবে খাওয়া যায়। যদি তরকারিতে করলা খেতে পারেন, তাহলে তো কোনও অসুবিধাই নেই। করলা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন হালকা ঝোল। ভেজেও খেতে পারেন।
কিন্তু যদি রান্না করা করলা খেতে ভাল না লাগে, তবে কী করবেন?
করলা ভাল করে ধুয়ে, শুকিয়ে নিয়ে ছোট করে কেটে মিহি করে গুঁড়ো করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে উপকারী পন্থা করলার রস খাওয়া। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা কাপ করলার জুস খেতে পারেন। ডায়াবেটিসের জন্য করলার জুস খুবই উপকারী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও করলার রস বিভিন্ন ভাবে যত্ন নেয় স্বাস্থ্যের। শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিতে দারুণ কার্যকর করলার রস। সকালে এক গ্লাস এই রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়।
সকালে খালি পেটে করলার রস হজমশক্তিও বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে করলার রস খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। ক্ষুধা বাড়ে। বিপাক হারও উন্নত হয়।