বাংলাদেশে জঙ্গি ইসলাম ঠেকাতে সরকার জুম্মার নামাজে খুতবার ওপর নজরদারি করবে।
মসজিদে মসজিদে ইমামরা কোন ধরনের ধর্মীয় অনুশাসন প্রচার করছেন তার ওপর নজর রাখা হবে, এবং অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করা হবে।
এ মাসের গোড়ার দিকে গুলশানে সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে রোববার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রীসভা কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঐ মন্ত্রীসভা কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন আমু বিবিসিকে বলেছেন, মসজিদে যারা নামাজ পড়তে যাবেন তাদেরকেই সন্দেহজনক কিছু দেখলে সরকারকে জানাতে আহবান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি দলেরই বহু সমর্থক মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এবিষয়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের জন্যেই এই সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, এজন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জনগণের জন্যে টেলিফোন নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে।
ধারণা করা হয় বাংলাদেশে ৬ লাখের মতো মসজিদ আছে।
এতো মসজিদে জুম্মার খুতবায় কি বলা হচ্ছে তার উপর নজর রাখা কতোটা সম্ভব হবে এই প্রশ্নের জবাবে আমীর হোসেন আমু বলেছেন, “জনসংখ্যাওতো অনেক। এটা তেমন কঠিন কোনো কাজ নয়।”
তিনি জানান, সাধারণ মুসল্লিদের পাশাপাশি সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দারা কাজ করবে।
তিনি বলেন, যিনি সরকারকে সন্দেহজনক বিষয়গুলো জানাবেন তার নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে।
“কেউ শত্রুতামূলকভাবে জানাচ্ছে না সঠিকভাবে জানাচ্ছে সেটা যাচাই করে দেখা হবে। পরীক্ষা করে দেখার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,” বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ইমামরা আছে। তারা ‘উল্টাপাল্টা’ বলতেই পারেন।
“বিগত দিনে তাদের অনেকেই বলেছেন। সেটা আমাদের জানা আছে। আমরা চাই যাতে ধর্মের ব্যাপারটাই বোঝানো হয়, ধর্মের নামে যেনো অন্য কিছু করা না হয়,” বলেন সরকারি দলের এই নেতা।
তথ্য সূত্রঃ বিবিসি অনলাইন।