1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
চসিক কাউন্সিলরের পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা - প্রিয় আলো

চসিক কাউন্সিলরের পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

  • আপডেট সময় শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ১১১
A Samakal 62c03b88c2fb7

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিনের বাসা থেকে তার পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শ্বশুরপক্ষ একে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও রেহনুমাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

পুলিশ মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে মরদেহের গলায় দাগ রয়েছে। এটি আত্মহত্যা না খুনের দাগ, নিশ্চিত নয় পুলিশ। এ মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় পাহাড়তলী থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

রেহনুমা ফেরদৌসের পরিবার বলছে, বিয়ের পর থেকে যৌতুক ও উপহার দেওয়া নিয়ে প্রায়ই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতেন। রেহনুমার শাশুড়ি ও তার ব্যাংকার স্বামী নওশাদুল আমিন বহুবার মারধরও করেছেন তাকে। এছাড়া রেহনুমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা কাউন্সিলর নুরুল আমিনের তুলনায় খারাপ ছিল। এসব অশান্তি নিয়ে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বেশ কয়েকবার উভয় পরিবারের মধ্যে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। রেহনুমা-আমিন দম্পতির দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

রেহনুমা ফেরদৌস চসিকের আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিমের ভাই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে।

রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ বলেন, মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা গিয়ে বিছানায় মরদেহ শোয়া অবস্থায় পেয়েছি। আমার মেয়েকে তারা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এখন তা ঢাকতে আত্মহত্যার গল্প সাজাচ্ছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা খুনের মামলা করব। তার মরদেহ পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় পায়নি। গলায় দাগ ছিল, মরদেহের হাতের মুঠোতে কিছু চুলও ছিল। নির্যাতন করেই হত্যা করেছে।

পাহাড়াতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাউন্সিলরের পুত্রবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে সকাল ১০টায় গিয়ে নিজ শয়নকক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমার গিয়ে তার মরদেহ ফ্লোরে শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছি। কাউন্সিলরের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার গলায় দাগের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর এটা হত্যা না আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।

অভিযুক্ত কাউন্সিলর নুরুল আমিন ও তার ছেলে নওশাদুল আমিনের মোবাইলে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x