‘গোপন ভিডিও’ ফাঁস নিয়ে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঢাকাই অভিনয় জগতের তিন তারকা। তারা হলেন শরিফুল রাজ, সুনেরা বিনতে কামাল ও তানজিন তিশা। সোমবার গভীর রাতে রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দুই অভিনেত্রীর বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। আর এ নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
যদিও প্রকাশিত ভিডিও-ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ১৭ মিনিট পরেই মুছে ফেলা হয়। তবে ইতোমধ্যেই সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে রাজ আর তিশা কিছু না বললেও রাত ৩টা ১০ মিনিটে অভিনেত্রী সুনেরাহ তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়ে ঘটনার বিষয়টি খুলে বলেছেন। তবে সুনেরাহ তার পোস্টে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শরিফুল রাজের স্ত্রী, চিত্রনায়িকা পরীমণির দিকে।
সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আমি রাজকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। তবে তার বিয়ের পর থেকে আমাদের প্রায় যোগাযোগই ছিল না। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমাদের দেখা হলো। আমরা একসঙ্গে ছবি তুললাম। আমি জানি না, পুরোনো বন্ধুর সাথে একটা ছবি তোলা কী এমন অপরাধের বিষয়! তার স্ত্রী (পরীমণি) কোনো কারণ ছাড়াই এটা নিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে গেল। যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, (শরিফুল রাজের অ্যাকাউন্টে) সেগুলো পাঁচ বছর আগের। ‘ন ডরাই’ সিনেমার সময়ের।
তিনি আরও লেখেন, ‘তখন এভাবেই আমরা মজা করতাম, আর প্রতিদিন এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম। কারণ আমাদেরকে (বিশেষ করে আমাকে) সিনেমার প্রয়োজনে এভাবে গালি দিতে হয়েছে। তাকে (রাজকে) একটি ছবি আমি তখন পাঠিয়েছিলাম, তাকে এটা জানানোর জন্য যে আমি শুটিংয়ে মার খেয়েছি (যেখানে লিয়াকত আমাকে মারে, ন ডরাই সিনেমাটা যাঁরা দেখেছেন, তারা জানবেন), মার খেয়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না। শুটিংয়ে যেতে পারব না এটা জানানোর জন্য ছবিটা পাঠিয়েছিলাম। তবে শুধু তাকে না, পরিচালককেও পাঠিয়েছিলাম।’
এ ছাড়া সুনেরাহ বলেন, ‘দয়া করে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কারণ আমি নিশ্চিত, ওর (রাজের) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না (সে-ই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’