ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জাঠ বিক্ষোভের সময় নারী যাত্রীদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ উঠার মাত্র একদিন পরেই গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন দিল্লির এক নারী । তিনি এ ঘটনায় রোববার সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
এর আগে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ট্রাকচালকের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, জাঠ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা গাড়ি থেকে নারী ও শিশুদের টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিল। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
ওই একই পত্রিকা হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজশ্রী সিংয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রোববার দিল্লির নারেলা এলাকার এক নারী সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেছেন। এদের মধ্যে তার নিজের ভগ্নিপতিও রয়েছেন। ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই সাতজন মিলে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার মূল হোতা ছিলেন তার নিজের দুলাভাই। তিনি ওই সাতজনের সবাইকে চেনন বলেও জানিয়েছেন।
ঘটনার দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিল্লির হরিদ্বার এলাকা থেকে সফর শুরু করেছিলেন তিনি। তাদের গাড়িটি মুরাথাল এলাকার কাছে আসার পর ওই সাত ব্যক্তি তাকে জোর করে গাড়ি থেকে বের করে সড়ক সংলগ্ন এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তারা তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। ওই নারীর সঙ্গে তার ১৫ বছরের মেয়েও ছিল। ওই কিশোরী ধর্ষকদের হাত থেকে বেঁচে গেছে। তবে হামলাকারীরা তার পরনের পোশাক ছিড়ে ফেলেছিল।
এর আগেই ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে সম্প্রতি জাঠ বিক্ষোভ চলাকালে মুরথাল এলাকায় নারীদের ওপর ধর্ষণসহ নানা প্রকার যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। গত ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি নারী যাত্রীদের রাস্তায় ফেলে তাদের ওপর পাশবিকতা চালিয়েছিল অধিকারের দাবিতে সোচ্চার জাঠ সম্প্রদায়ের লোকজন। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সাত দিনের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়েছিল ওই হিন্দু জনগোষ্ঠীটি।