খুলনা প্রতিনিধি : খুলনায় মঙ্গলবারের কালবৈশাখীর ভয়ঙ্কর তাণ্ডবে ঘর-বাড়ি, ফসল ও মৎস্য-সম্পদসহ অন্যান্য সম্পদ মিলিয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ টন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। আরো ২০০ টন চাল, ২০০ বান্ডিল টিন এবং ৩০ লাখ টাকা বরাদ্ধ চেয়ে ত্রাণ ও পূণর্বাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তথ্য সংগ্রহে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের খোলা এসব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে, ঝড়ের তিনদিন পরও নগরীর সব এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হলেও অধিকাংশ এলাকা রয়েছে অন্ধকারে। অপরদিকে, ঝড়ের রাতে দেয়াল ধসে আহত যুবক আব্দুর রহিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
দেশের অন্যতম এবং খুলনার খ্যাতনামা আইটি প্রতিষ্ঠান ” রিয়েল আইটি সল্যুশন ” এর সিইও মোঃ তৌফিকুর রহমান বলেন; মঙ্গলবারের বিধ্বংসী ঝড়ে বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতির সাথে সাথে আইটি ক্ষেত্রেও মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসে। বিশেষ করে বিদেশি বায়ারদের অর্ডারকৃত ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার এবং কার্যক্রমে বিলম্ব হওয়ায় আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিরও ব্যাপক অবনতি হয়। তবে সাময়িক এ দূরাবস্থা কাটিয়ে খুব দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা এমএ মান্নান জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ঝড়ে জেলায় মোট ৫ হাজার কাঁচা ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ঘর-বাড়ি অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান বলেন, খুলনায় ঝড়ে ঘর-বাড়ি, ফসল ও মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য মিলে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, ঝড়ের তিনদিন পরও আজ শনিবার নগরীর হটুটপাড়া, শেখপাড়া, রূপসা ও বানিয়াখামার এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।