ক্রীড়া ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের ফুটবল কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ ক্যান্সারের কাছে হার মেনেছেন। টোটাল ফুটবলের এই জনক ৬৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
তার মৃত্যুতে ফুটবল বিশ্ব শোকে মুহ্যমান। নেদারল্যান্ডস ফুটবল সংস্থা এক শোক বার্তায় জানায়, ‘এতবড় ক্ষতির কথা বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। তিনি ছিলেন নেদারল্যান্ডসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার ও বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তার স্ত্রী, পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি সহমর্তিতা জানাচ্ছি।’
জার্মানির ফুটবলার ফ্রাঞ্চ বেকেনবাওয়ার বলেন, ‘ ইয়োহান ক্রুইফের মৃত্যুতে আমি খুবই মর্মাহত। সে শুধু আমার ভালো বন্ধুই ছিল না, সে ছিল আমার ভাই।’
ক্রুইফ আয়াক্স ও বার্সেলোনার হয়ে খেলেছিলেন। তিনি তিন তিনবার ইউরোপের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সাল থেকে টানা তিনবার তিনি আয়াক্সের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিলেন। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৯২ সালে কাতালান ক্লাবটিকে প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতিয়েছিলেন। এ ছাড়া ১৯৭৪ সালে নেদারল্যান্ডস দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। অবশ্য ফাইনালে তারা ২-১ গোলে পশ্চিত জার্মানির কাছে হার মেনেছিল।
ক্রুইফের তত্ত্বাবধানে ১৯৯০-৯১ থেকে শুরু করে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে টানা তিনবার বার্সেলোনা লা লিগার শিরোপা জিতে নেয়। ১৯৯৫ সালে তাকে বার্সেলোনার কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে জীবনের বাকি সময়েও তিনি বার্সেলোনাতে প্রভাবশালী ছিলেন।
১৯৯১ সালে ক্রুইফের হার্টে বাইপাস সার্জারি করা হয়। সার্জারির পর পরই তিনি ধূমপান ছেড়ে দেন। এ সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ফুটবল আমাকে জীবনে সবকিছু দিয়েছে। কিন্তু ধূমপান আমার জীবনের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ক্রুইফের ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন তিনি বলেছিলেন যে, ‘ফুসফুসের ক্যান্সারের বিপক্ষের ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হচ্ছে। আমি নিশ্চিত শেষ পর্যন্ত আমারই জয় হবে।’ কিন্তু সেটা আর হল কই?