ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরের সুপার টেনের চার ম্যাচের চারটিতেই জয় পায় নিউজিল্যান্ড। অপরাজিত দল হিসেবে তারা সবার আগে সেমিফাইনালে ওঠে।
টিম কম্বিনেশন ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ধরা হয়েছিল তাদের। শিরোপা না জিতলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো ফাইনাল খেলবে তারা সেটা ছিল অনুমেয়। কিন্তু হল তার উল্টো। অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে এসে ইংল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হল তারা।
বুধবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। আর সেমিফাইনাল থেকেই প্রথম শিরোপা জয়ের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিয়েছে ব্লাক ক্যাপসরা।
বুধবার টসে জয়লাভ করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ান মরগান। তবে তিনি ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। স্বপ্নের ফাইনালের টিকেট পেতে ১৫৪ রান দরকার হয় ইংল্যান্ডের।
সেই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ বোঝাপড়ায় মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে ইংল্যান্ড।
১৫৪ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স হ্যালস ও জেসন রয় মিলে ৮২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। ওপেনিংয়ে নেমে জেসন রয়ের ৭৮ রানের ইনিংসটাই মূলত ইংলিশদের জয়ের ভীত গড়ে দেয়। ৪৪ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় বিধ্বংসী এই ইনিংসটি সাজান তিনি।
দলীয় ৮২ রানে ব্যক্তিগত ২০ রান করে স্যান্টনারের বলে আউট হন হ্যালস। দলীয় ১১০ রানে জেসন রয়ের আউটের পর গোল্ডেন ডাক মেরে প্যাভলিয়নের পথ ধরেন দলীয় অধিনায়ক মরগান। তবে মরগানের পর ইংলিশদের আর কোনো উইকেট বিসর্জন দিতে হয়নি। জো রুট ২২ বলে ২৭ এবং জস বাটলার ১৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ফাইনালের টিকিট পাইয়ে দেন।
বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ইশ সোধি ২টি এবং মিচেল স্যান্টনার ১টি উইকেট পান।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানের সময় ডেভিড উইলির বলে জোস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। তবে ওয়ান ডাউনে নামা কলিন মুনরোকে নিয়ে ভালো একটি জুটি গড়েন কেন উইলিয়ামসন। তারা দুজনে মিলে ৭৪ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েন।
এরপর মঈন আলীর স্পিন ঘূর্ণিতে দলীয় ৯১ রানে ব্যক্তিগত ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন কেন উইলিয়ামসন। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি আসে কলিন মুনরোর ব্যাট থেকে। ৩২ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ রান করেন তিনি। তাছাড়া কোরি অ্যান্ডারসন করেন ২৩ বলে ২৮ রান। শেষ পর্যন্ত আর কেউ বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারায় ৮ উইকেটে হারিয়ে ১৫৩ রানে থামে কিউইদের দৌড়।
বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে বেন স্টোকস ৩টি উইকেট পান। তাছাড়া ডেভিড উইলি, ক্রিস জর্ডান, মঈন আলী ও লিয়াম প্লাঙ্কেট একটি করে উইকেট পান।
ব্যাট হাতে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ইংল্যান্ডের জ্যাসন রয়।