1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
কারাগারে ২ হাজার বার ধর্ষণ! - প্রিয় আলো

কারাগারে ২ হাজার বার ধর্ষণ!

  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৬৬
53

আন্তর্জাতি53ক ডেস্ক : অপরাধীরও মানবাধিকার আছে। আধুনিক বিশ্বে তা আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত। তবে সভ্য দেশ বলে দাবিদার অস্ট্রেলিয়ায় সেই অধিকারটুকু পাননি দেশটিরই এক নাগরিক। খোদ কারা কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। তাও একবার কিংবা দুবার নয়, ২ হাজার বার!

 

ঘটনাস্থল অস্ট্রেলিয়া আর  সময় নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি। গাড়ি চুরির দায়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল মেরি (আসল নাম পরিবর্তিত) নামের এক ট্রান্সজেন্ডার নারীকে। শাস্তি শোনার পর কারা কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেছিলেন তাকে যেন পুরুষদের সঙ্গে এক সেলে রাখা না হয়। তার কথায় কানো দেয়নি কুইন্সল্যান্ড কারা কর্তৃপক্ষ। তার ঠাঁই হয়েছিল পুরুষদের সেলেই।

 

সেলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মেরির পুরুষ সহবন্দিরা জোর করে তার পোশাক খুলে দেয়। শুরু হয় যৌন নির্যাতন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে ধর্ষিত হতে হয়েছে তাকে। প্রতিদিনের অমানুষিক এই অত্যাচারে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বারবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থেকেছেন। কেউই ফিরেও তাকায়নি। তার অসহায় চিৎকার বা অস্ফুট গোঙানি- কোনো কিছুই কারো কানে পৌঁছায়নি।  টানা চার বছর চলেছে  এই নারকীয় নির্যাতন। অন্তত ২ হাজার বার ধর্ষণ করা হয় তাকে।

 

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এক দশক সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সেই ভয়ংকর দিনগুলোর কথা মনে পড়লে অজানা আতঙ্কে শিউরে ওঠেন মেরি। সম্প্রতি নিজের সেই অসহনীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাসিন্দা।

 

মেরি বলেন, ‘আমি জানতাম আমাকে টিকে থাকার জন্য এ নির্যাতন সহ্য করতে হবে। তবে এ টিকে থাকা ছিল অন্য বন্দিদের বিনোদনের জন্য। এটা ছিল দুনিয়ার বুকে জাহান্নাম দেখা।’

 

জেলে চার বছরে নরকযন্ত্রণার সময় মেরি মাত্র একজন সমব্যথীকে খুঁজে পেয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে তিনিও ট্রান্সজেন্ডার ছিলেন। মেরির ওপর যে ধরনের নির্যাতন চলত, সেই একই নির্যাতনের শিকার ছিলেন তিনিও। মেরির মুক্তির কিছুদিন আগে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্যারোলের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ফের কারাবাসের শাস্তি শোনানো হয় তাকে। তবে মেরির বন্ধুকে আর জেলে ফিরে যেতে হয়নি। জেলে যাওয়ার কথা শুনেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি!

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x