1. imran.vusc@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক : প্রিয়আলো ডেস্ক
  2. m.editor.priyoalo@gmail.com : Farhadul Islam : Farhadul Islam
  3. priyoalo@gmail.com : প্রিয়আলো ডেস্ক :
  4. imran.vus@gmail.com : Sabana Akter : Sabana Akter
কবরে ‘চিল্লা’ দিতে গেলেন ‘জিন্দাবাবা’ - প্রিয় আলো

কবরে ‘চিল্লা’ দিতে গেলেন ‘জিন্দাবাবা’

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬
  • ১৯৯
Image 6446


image-6446প্রিয়আলো ডেস্কঃ
 বৃদ্ধর বয়স ৭০ বছরের বেশি হবে। সাতদিন আগে এসে উপস্থিত হন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নয়াপাথারিয়া গ্রামে। নিজের পরিচয় দিয়েছেন জিতু মিয়া ওরফে জিন্দা শাহ। এরই মধ্যে অদ্ভুত অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড করে হবিগঞ্জে আলোড়ন ফেলছেন তিনি।

জিন্দা শাহ হাত-পা বেঁধে ঘণ্টাব্যাপী পানিতে ভেসে মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করছেন। জিন্দাবাবা গতকাল রোববার দুপুরে কবরবাসে যান। সেখানে থাকবেন তিন দিন। এটিকে তিনি ‘কবর চিল্লা’ বলে দাবি করেছেন।  তিনদিন পর তিনি কবর থেকে উঠবেন বলে জানালেন।

এসব দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছেন। তবে এ নিয়ে দর্শনার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

নয়াপাথারিয়া গ্রামের এক পুকুরপাড়ে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে কবরে প্রবেশ করেন জিতু মিয়া। তাঁর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ৩০০ গ্রাম আঙ্গুর আর একটি বিস্কুটের ‘বৈয়াম’। আগামী মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় তাঁকে কবর থেকে ওঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

জিতু মিয়ার কবরে যাওয়া এবারই প্রথম নয়! তার দাবি, এর আগেও তিনি একাধিকবার কবরে অবস্থান করেছেন। তিনি জানান, গত ৪৫ বছর ধরে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন মাজারে মাজারে ‘সাধনা’ করেছেন। তিনি হবিগঞ্জ শহরতলীর মরহুম আধ্যাত্মিক সাধক দেওয়ান মাহবুব রাজার ভক্ত। স্বপ্নের মাধ্যমে মাহবুব রাজার কাছ থেকে ‘চিল্লা’য় যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। ‘চিল্লা’ মানে হচ্ছে কবরে প্রবেশ করা ।

জিতু মিয়া বলেন, ‘এর আগে ১১ বার আমি চিল্লায় গিয়েছি। আর এটাই আমার শেষ ‘চিল্লা’।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছায় কবরে যাচ্ছি। আমি আগেও গিয়েছি। যদি কোথাও লিখে বলতে হয় আমি তাও রাজি আছি। আমি যদি মারাও যাই তবুও কেউ দায়ী নয়। আমার দায়দায়িত্ব আমার।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিন দিয়ে ঘেরাও করা একটি জায়গায় মাটি কাটা হয়। সেখানে কবর খোঁড়া হয়। সামনে থেকেই সব তদারকি করেন জিতু মিয়া। কবরের ওপর সমান করে বাঁশও দেওয়া হয়। বাঁশের ওপর পাটি বিছানো হয়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে জিতু মিয়াকে কবরে ঢুকিয়ে দিয়ে পাটির ওপর মাটি দিয়ে ঢেকে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জিতু মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায়। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর গ্রামে বাস করছেন তিনি। সংসার জীবনে তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা। কিন্তু সংসারে তিনি থাকেন না। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন।

এবার বেরিয়ে জিতু মিয়া হাজির হন বানিয়াচং উপজেলার নয়াপাথারিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের একটি পুকুর জিতু মিয়ার পছন্দ হয়। পুকুরপাড়ে থাকার ইচ্ছের কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুকুরপাড়ের জমির মালিক মেহেদী মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া সেখানে একটি ঘর করে দেন। সে ঘরেই তৈরি করা কবরে অবস্থান নিয়েছেন জিতু মিয়া।

জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গ্রামের পুকুরে গেছেন জিন্দাবাবা। সবাই বলেছে থেকে যাওয়ার জন্য। তিনি থাকেননি। পরে এ পুকুরে আসেন। এ পুকুরে নেমে তারপর তিনি বলেন, পাড়ে জায়গা দেওয়ার জন্য। এখানে তিনি আস্তানা গড়তে চান। আমার আব্বা তাঁকে দেখে বলেন যে আমি ঘর করে দিব।’

জুয়েল আরো বলেন, ‘এখন ভয় লাগছে। তিনি চিল্লায় মানে কবরে যেতে চান। যদি কিছু হয় তাহলে তো ভয় অনেক। পরে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনদের ডেকে নিয়ে এসেছি। তাঁদের মতামত ছাড়া এটা আমরা করতে পারি না।’

সূত্রঃআমাদের সময়।

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved priyoalo.com © 2023.
Site Customized By NewsTech.Com
x