ক্রীড়া প্রতিবেদক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে শনিবার দুপুর ৩টায় নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। সুপার টেনে একটি ম্যাচেও জয় না পাওয়ায় এরই মধ্যে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে বিশ্বকাপে দূর্দান্ত খেলে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দুই প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত ও পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়েছে কিউইরা। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড এখন পর্যন্ত ৩টি ম্যাচ খেলেছে। ৩টিতেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
এক নজরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড এর টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো প্রিয়আলোর পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো:
৩ ফ্রেবুয়ারি, ২০১০
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। প্রথম লড়াইয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল ‘পুচকে’ বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটনে বাংলাদেশ ওই ম্যাচটি হেরেছিল ১০ উইকেটে, ৭০ বল আগে! বলাবাহুলল্য নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে পেয়ে বসেছিল কিউইরা। আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। জবাবে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ঝড়ে ৮.২ ওভারে বাংলাদেশ হেরে যায়। ম্যাককালাম মাত্র ২৭ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে করেন ৫৬ রান। পেটার ইনগ্রাম ছিলেন দর্শক। ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ২০ রান।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ। ভাগ্যের কি নির্মম বর্বরতা! বাংলাদেশকে পেলেই জ্বলে উঠেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সেদিন এক ম্যাককালামের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড তুলে নেয় ৩ উইকেটে ১৯১ রান। ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম একাই করেন ১২৩ রান। ৫৮ বলে ১১ চার ও ৭ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ম্যাককালাম। ম্যাককালামের ৭২ মিনিটের ইনিংসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাংলাদেশ শিবির। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩২ রান করে বাংলাদেশ। টাইগারদের মান বাঁচান নাসির হোসেন। ৩৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫০ রান। ৫৯ রানের বড় পরাজয় বরণ করে বাংলাদেশ।
৬ নভেম্বর, ২০১৩
টি-টোয়েন্টি সেবারই প্রথম নিউজিল্যান্ডের সামনে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কারণও আছে। ঘরের মাঠে সেবার মুখোমুখি হবার আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এরপর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল দুই দল। বাংলাদেশ ম্যাচটি ১৫ রানে হেরে গেলেও কিউইদের সঙ্গে লড়াই করেছে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড ২০৪ রান করে ৫ উইকেট হারিয়ে। জবাবে বাংলাদেশ ১৮৯ রান করে। মুশফিকুর রহিম ওই ম্যাচে মাত্র ২৯ বলে ৫০ রান করেন। মাহমুদউল্লাহক ২৫ বলে ৩ ছক্কায় করেন ৩৪ রান। ১৫ রানে বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেও মন জয় করেছিল ক্রিকেটপ্রেমিদের।